Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে একটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। এক মুসলিম কিশোর মন্দিরের জল খাওয়ার জন্য প্রবেশ করলে তাকে মন্দিরে উপস্থিত এক ব্যক্তি কিশোরটিকে তার নাম জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে সে জাতিতে মুসলিম। এরপর একটুও সময় নষ্ট না করে ব্যক্তিটি কিশোরটিকে বেধড়ক মারতে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই রোষানলের মুখে পড়েছে যোগীর সরকার।
এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটি দাবি ভাইরাল হয়েছে, যেখান দাবি করা হয়েছে এই আসিফই লকডাউনের সময় তৃষ্ণার্তদের জল পরিবেশন করেছিল, আর আজ সে নিজেই জলের জন্য মার খেলো। ভাইরাল ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি ট্রেনের সামনে কিছু মুসলিম বাচ্চাদের ট্রেনের যাত্রীদের জল পরিবেশন করতে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিতে একটি বাচ্চার দিকে তীর চিহ্ন এঁকে বোঝানো হয়েছে এই সেই আসিফ যে মন্দিরে গিয়ে জল খাওয়ার সময় মার খেয়েছে। ফেসবুক থেকে এই ঘটনার উপর ভাইরাল হওয়া কিছু পোস্ট নিচে দেখা যেতে পারে –
ফেসবুকে এই পোস্টটি কতটা ভাইরাল হয়েছে তা এখানে দেখা যেতে পারে –
এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির নাম শ্রীঙ্গি নন্দন যাদব, যে মূলত বিহারের বাসিন্দা। ঘটনার দিন শ্রীঙ্গি আসিফকে জল খেতে আসতে দেখে জিজ্ঞাসা করে তার পরিচয়। আসিফ তার নাম বলার পর শ্রীঙ্গি তাকে মারধর করতে শুরু করে। পরে গাজিয়াবাদ পুলিশ শ্রীঙ্গিকে আটক করে।
Fact -check / Verification
আসিফ লকডাউনের সময় জল দিয়েছিলো এই দাবিতে যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তা অনেক বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে রয়েছে। রিভার্স ইমেজ করার পর আমরা জানতে পারি ২০১৬ সাল থেকে এই ছবিটি রয়েছে ইন্টারনেটে ২০১৬ সালে suvanappiriyan.blogspot নামের একটি ব্লগ পোস্ট থেকে আমরা এই ছবিটি পাই।
এছাড়াও ফেসবুক থেকে সিলেটর মাটি নামক পেজ থেকে এই ছবিটি আমরা পেয়েছি যা ২০১৭ সালে তাদের পেজে দেওয়া হয়েছিল।
২০২০ সালে লকডাউনের সময় মুসলিম বাচ্চাদের জল পরিবেশন করার ছবিটি ভাইরাল হয়েছিল। বলা হয়েছিল পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার ছাত্ররা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের পরিযায়ী শ্রমিকদের ঠান্ডা জল পরিবেশন করে তাদের তেষ্টা নিবারণ করছে। এই দাবির উপর আমাদের ফ্যাক্ট-চেক রিপোর্ট এখানে পাবেন।
Conclusion
আসিফ লকডাউনের সময় জল দিয়েছিলো এই দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ছবিটি ২০১৬ সাল থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে। এই ছবিটির সাথে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে মন্দিরে ঢুকে জল খেতে গিয়ে মার খেয়েছে আসিফ এই ঘটনার কোনো যোগ নেই।
Result- Misplaced context
Our sources
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন ।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.