Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: checkthis@newschecker.in
Fact Check
আমেরিকাতেTik-Tok ব্যান করার নিয়ে বেশ কিছু পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই পোস্ট করা হয়েছে।
ফেসবুক থেকে ‘Nation with Namo‘ নামের একটি পেজ থেকে আজ সকালে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি দাবি করা হয়েছে আমেরিকার সেনেটর বিশ্লেষণ দিলেন কেন ভারতে টিক-টক ব্যান হলো।
চীনা অ্যাপ Tik-Tok-র ব্যবহার নিয়ে যেন বিতর্ক থামতেই চাইছে না। গত বছর অর্থাৎ ২০১৯ থেকেই ভারতে এই চীনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করার জন্য সবার প্রথম মাদ্রাজ হাই কোর্ট দাবি জানায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। চীনের গন্ডি পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে মোবাইলের অন্যতম প্রিয় অ্যাপের তালিকায় নাম ওঠে Tik-Tok র। ৫০০ মিলিয়ন উজারের এই অ্যাপটি ধীরে ধীরে অপছন্দের কারণ হয়ে উঠতে থাকে। অশ্লীল ভিডিও করা থেকে শুরু করে জাতিবিদ্বেষ মূলক ভিডিও তুড়িতে ভাইরাল হতে থাকে।
২০১৯ সালে এই অ্যাপ ব্যবহার কারী বিশেষত টিনএজার ছেলে মেয়েদের আকর্ষণীয় ভিডিও বানাতে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। বিনোদন দেওয়া অ্যাপ যখন প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়, কেন্দ্রীয় সরকার তখন নড়েচড়ে বসে। ২৪শে এপ্রিল গুগল প্লে স্টোর থেকে তুলে নেওয়া হয় টিক-টককে।
এই বছর লাদাখের গালওয়ান উপত্যকাকে ঘিরে ভারত-চীনের মধ্যে যে যুদ্ধের সৃষ্টি হয়েছে, তার যোগ্য জবাব স্বরূপ ভারত সরকার সমস্ত চীনা অ্যাপ ভারত থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ৩০শে জুন বন্ধ হয় ৫৯টি চীনা অ্যাপ।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল ‘আমেরিকাতে বন্ধ হলো টিক-টক অ্যাপ’ দাবিটি পুরোপুরি ঠিক নয়। আমরা গুগলে কিছু কীওয়ার্ডের দ্বারা যখন এই বিষয় নিয়ে খোঁজ শুরু করি ২০১৯ সালের Reuters থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট আমরা পাই যেখানে আমেরিকার রিপাবলিকান সেনেটর চক সুমার ও ডেমোক্র্যাট সেনেটর টম কটন টিক-টক অ্যাপ জাতীয় সুরক্ষার পরিপন্থী হয়ে উঠেছে। আমেরিকার জাতীয় ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর জোসেফ ম্যাকগুইরকে চিঠি লিখে এই ঘটনার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়। চীনা অ্যাপ ফোনে ইনস্টল করার পর যা তথ্য দিতে হয় তাতে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়ে এই চিঠি লেখা হয়।
এই বছর, ২০২০ সালে পুনরায় এই বিষয়ের উপর যখন আলোচনা শুরু হয়, তখন জানানো হয় যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের কর্মীদের এই অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে ।
১২ঐ মার্চে Reuters এর একটি রিপোর্ট পাই যেখানে রিপাবলিকান সেনেটর জশ হাওলে ও রিক স্কট একটি বিল আনেন যেখানে বলা হয়েছে এখন থেকে কেন্দ্র সরকার ও দেশের সুরক্ষা দায়িত্বে থাকা সমস্ত কর্মদের ফোনে এইঅ্যাপ কে ব্যান করা হলো।
যদিও গত বছর ডিসেম্বর মাসে মার্কিন নৌ-বাহিনী সবার প্রথম এই অ্যাপ ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়, এই অ্যাপের দ্বারা সাইবার নিরাপত্তার উপর নেমে আসতে পারে গভীর সংকট। তারপর এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকার পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসন ও মার্কিন সেনা বাহিনীর তরফ থেকে এই অ্যাপকে সরকারি কাজে নিযুক্ত কর্মীদের ব্যবহারের থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। জানুয়ারির শুরতেই বিমান বাহিনীদের ফন থেকেও বাদ দেওয়া হয় টিক-টককে।
এবার আসা যাক ভিডিওটির কোথায়। ভিডিওতে জশ হাওলে পরিষ্কার জানাচ্ছেন যে ফেডারেল এমপ্লয়ী অর্থাৎ সরকারি কাজে যুক্ত , সমস্ত কর্মীদের ফোন থেকে পুরোপুরি ব্যান করা হলো Tik-Tok কে। যেখানে Tik-Tok র তরফ থেকে স্বীকার করা হয়েছে যে এই সংস্থা এই অ্যাপ ব্যবহার কারীর সব তথ্য সরবরাহ করতো চীনের সরকারের কাছে। ব্যবহারকারী কি দেখছে, কোন সাইটে বেশি সময় কাটাচ্ছে, এই ধরণের সব গোপন তথ্যই অ্যাপের মাধ্যমে পৌঁছে যেত চীনা সরকারের কাছে। এই ঘটনা দেশের তথ্য নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট বিপদজনক হয়ে উঠছিলো।
জশ হাওলে একটি আইন এনেছেন যার ফলে সব রকম সরকারি কর্মীদের ফোনে নিষেধ হবে Tik-Tok।
ভাইরাল এই ভিডিওটি তিন মাস আগে থেকেই ইউটুবে ছিল, যা ভারতে Tik-Tok বন্ধ হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়াচ্ছে।
ব্যবহৃত টুলস
ফলাফল: বিভ্রান্তিকর Misledaing
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Paromita Das
September 3, 2020
Paromita Das
July 3, 2020
Paromita Das
June 29, 2020