Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসরকারের প্রকল্প কন্যাশ্রী নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে নিজের গবেষণা পত্রে উল্লেখ করেছেন হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ববিদ তামারা গ্রিসবি এমনটাই দাবি সমেত কিছু পোস্ট আমরা পেয়েছি।
ভাইরাল এই পোস্টে আরও বলা হয়েছে গত এক শতাব্দীর বিশ্ব সেরা নারী প্রগতির প্রকল্প হলো কন্যাশ্রী, ১০০ বছরের মধ্যে এই ধরণের কোনো প্রকল্প কোনো দেশে চালু হয়নি বলে দাবি করেছেন তামারা গ্রিসবি।
Fact Check/Verification
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৩ সালে চালু হয় কন্যাশ্রী প্রকল্প। রাজ্যসরকারের নারী কল্যানমূলক প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হলো এই প্রকল্পটি। অর্থনতিক ভাবে অনগ্রসর পরিবারের মেয়েদের বাল্যবিবাহের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্পের সূচনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বাংলায় অনেক পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছে এবং যথেষ্ট জনপ্রিয় এই প্রকল্পটি। বর্তমানে সেই প্রকল্প নিয়ে ভাইরাল হয়েছে একটি দাবি- কন্যাশ্রী নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। সত্যিই হাভার্ডের সমাজতত্ববিদ গ্রিগসবি এমনটা উল্লেখ করেছেন কিনা ওনার গবেষণাপত্রে জানার জন্য আমরা অনুসন্ধান শুরু করি।
তামারা গ্রিসবি আমেরিকার উইস্কনসিন রাজ্যসভার ডেমোক্র্যাট সদস্য ছিলেন। রাজনীতি ছাড়াও তিনি নানা রকম সমাজ কল্যানমূলক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি উইস্কনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে যুক্ত ছিলেন এছাড়াও উইস্কনসিন শিশু ও নারী কল্যাণ কাউন্সিলের ক্রিয়াকলাপের পরিচালক ছিলেন। ২০১৬ সালে ওনার মৃত্যু হয়।
কন্যাশ্রী নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য – এই দাবিটি বিভ্রান্তিকর
গুগলে কীওয়ার্ড দিয়ে খোঁজার পর আমরা আনন্দবাজার পত্রিকার ২০১৭ সালের একটি রিপোর্ট পাই, ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে সেরার শিরোপা যেতে কন্যাশ্রী। আড়াই মিনিটের একটি ছোট্ট আলোচনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওনার প্রকল্পের কথা জানান যার মধ্যে থেকে সেরা ছিল কন্যাশ্রী।
কিন্তু এই পুরস্কারের খবরের পর আমরা কন্যাশ্রী নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বা হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ববিদ তামারা এই প্রকল্পটির প্রশংসা করেছেন কিনা এই ধরণের কোনো দেশীয় বা আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্ট পাইনি। কন্যাশ্রীর ওয়েবসাইটে এই প্রকল্পটি যে সমস্ত আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে তার একটি গ্যালারি করা হয়েছে সেখানেও হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের কোনো উল্লেখ নেই।
এর পর আমরা পশ্চিমবঙ্গ নারীও শিশু কল্যাণ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করি এই বিষয়টি সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার জন্য, কিন্তু এই বিষয়ে ওনারাও তথ্য দিতে অসমর্থ হন।
Conclusion
ফেসবুকে ভাইরাল দাবি তৃনমুল সরকারের প্রকল্প কন্যাশ্রী নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে নিজের গবেষণায় উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট সমাজতত্ববিদ তামারা গ্রিসবি – দাবিটি আসলে বিভ্রান্তিকর। তামারার কোনো গবেষণাপত্রে বা রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ বিভাগে এই ধরণের দাবির কোনো উল্লেখ নেই।
Result: Misleading
Our Sources
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.