Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি: বাংলার বর্তমান রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনখরের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে বেহায়ার মতো মুসলিম তোষণ করেন এই সমালোচনামূলক মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় উঠেছে। সম্প্রতি এই বিষয়ের উপর ফেসবুকে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যেখানে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠি বলেছেন যে তার দেখা সেরা মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা ব্যানার্জী।
বিশ্লেষণ:বর্তমানে ‘মনোনীত’ রাজ্যপাল ও ‘নির্বাচিত’ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে চিঠি চালাচালি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা একেবারে ঊর্ধ্বে পৌঁছেছে। নিজামুদ্দিন মার্কাজের ঘটনার পর জমায়েতে যোগদানকারীদের মধ্যে যারা যারা বাংলায় এসেছেন তারা সংখ্যায় কত, তাদের নাম, ঠিকানা এই বিষয় নিয়ে যখন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি উত্তর দেন কোনো ‘সাম্প্রদায়িক’ প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে রাজি নন। এই নিয়ে সমগ্র মিডিয়া এমনকি রাজ্যপালও এই উত্তরের সমালোচনা করেছেন। তিনি ২৪শে এপ্রিল চিঠি পাঠান মমতাকে যেখানে তিনি তাকে ‘ বেহায়ার মতো মুসলিম তোষণ নীতি ‘ কে অনুসরণ না করতে বলেন। তার কথায় পশ্চিমবঙ্গ এখন করোনার জন্য যে বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে এই পরিস্থিতে ওনাকে একজন প্রকৃত মুখ্যমন্ত্রীর মতো কাজ করতে হবে। যদিও মমতা ব্যানার্জী এর উত্তরে পাঁচ পাতার একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, এবং রাজ্যপালকে সংবিধানের নিয়ম অনুসারে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।
এই উত্তপ্ত বিষয়কে নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যেখানে বঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠি নাকি বলেছেন যে মমতা ব্যানার্জী তার দেখা সেরা মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সর্বদা মানুষের জন্য কাজ করতে ভালোবাসেন। তার হয়তো কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুলচুক হয়েছে কিন্তু ওনার মতো একজন মুখ্যমন্ত্রী যেকোনো রাজ্যের জন্য খুব মঙ্গল দায়ক।
প্রাক্তন রাজ্যপালের কাছে মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কতটা শ্রেষ্ঠ ছিলেন জানার জানার জন্য আমরা কিছু keyword এর সাহায্যে গুগলে সার্চ করতে শুরু করি। কেশরী নাথ ত্রিপাঠি ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে আসীন ছিলেন। একজন অভিজ্ঞ বিজেপির নেতা রাজ্যপাল হয়ে আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর সাথে নানা বিষয়ে তার সংঘাত হয়।
কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করার পর আমরা ওনার কার্যকালের কিছু খবর পাই। এই সময় একটি রিপোর্ট ২০১৯ সালে কলকাতায় এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লেখেন এই ঘটনার দ্রুত নিস্পত্তি করার জন্য। কিন্তু মমতা তার চিঠির কোনো উত্তর বা ধর্মঘট নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরণের ব্যবহারে তিনি যথেষ্ট মর্মাহত হন।
এছাড়াও ২০১৭সালে এনাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে রাজনৈতিক মহল বেশ সরগরম হয়ে উঠেছিল। কেশরী নাথকেও মমতা ব্যানার্জী বিজেপির মনোনীত প্রতিনিধি বলে সম্বোধন করেছিলেন। আনন্দ বাজার পত্রিকার একটি রিপোর্ট থেকে জানতে পারি যে তৎকালীন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী বলেন যে রাজ্যপালের এখনই ইস্তফা দেওয়া উচিত। এই ঘটনার জল অনেকদূরে এগোয়। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্ততা করে তাদের মধ্যেকার তিক্ততাকে মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেন।
২০১৯ সালের এই সময় পত্রিকার একটি রিপোর্ট আমরা পাই যেখানে তিনি অর্থাৎ কেশরী নাথ ত্রিপাঠি রাজ্যপাল থাকার শেষদিনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন যে রাজ্যে যে অচলাব্যবস্থা চলেছে তার জন্য মমতার তোষণ নীতিই দায়ী।
অর্থাৎ প্রাক্তন ও বর্তমান রাজ্যপাল দুজনেরই বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর প্রতি বীতশ্রদ্ধ ছিলেন।
কোনো স্থানে এই প্রমান নেই যে কেশরীনাথ ত্রিপাঠির চোখে মমতা শ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রীর উদাহরণ ছিলেন।
আমাদের অনুসন্ধানের দ্বারা প্রাপ্ত সবরকম রিপোর্টগুলিকে যাচাই করার পর জানতে পারি ভাইরাল এই পোস্টটির বক্তব্য ভুল। এই ধরণের বক্তব্যের কোনো প্রমান নেই।
ব্যবহৃত টুলস:
- Google keyword
- Media reports
ফলাফল: মিথ্যা দাবি Falsely attributed
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.