Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
ভাইরাল ভিডিও
বিখ্যাত সংবাদপত্র India Today ও The Tribune ৫৫ বছর বয়সী এক শিক্ষককে অনলাইন ক্লাস চলাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারা নিপীড়ন হতে হয়েছে, এই একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। Crowdtangle এর দ্বারা আপনি জানতে পারবেন এই দুই সংবাদ সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত রিপোর্ট কত লোক দেখেছে।
টুইটার ও ফেসবুক থেকে কত লক্ষে এই খবর দেখেছে ও তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তা আপনারা দেখতে পারেন।
ফ্যাক্ট-চেক
মহামারী রোগ করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে স্কুল-কলেজের তালা পড়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় কোনো ক্ষতি না হয় তাই শুরু হয়েছে ‘ভার্চুয়াল-ক্লাস’ মোবাইল, ল্যাপটপের দ্বারা সময় মেনে চলেছে স্কুল-কলেজের ক্লাস। কবে এই পরিস্থিতি পাল্টাবে, কবে এই আবার পুরোনো ছন্দে ফিরবে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা জানা নেই। এর মাঝে ভাইরাল হয়েছে ৫৫ বছরের শিক্ষক নিপীড়ণের ভিডিওটি।
ঘটনাটি যথেষ্ট দুঃখ জনক এবং নিন্দনীয়। শিক্ষক যাদের উপর সমাজকে শিক্ষিত করার দ্বায়িত্ব থাকে, তাদের সাথে সেই ধরণের নক্কারজনক ব্যবহার সত্যিই খুব খারাপ। এই ঘটনার আমরা কিছু কীওয়ার্ড নিয়ে গুগলে সার্চ করার পর ভাইরাল এই ভিডিওর কিছু লিংক আমরা পাই। যে ঘটনাটি এই ভিডিওটির সাথে লেখা হয়েছে তা হলো, ৫৫ বছর বয়সী এই শিক্ষককে স্কুলের প্রিন্সিপাল অনলাইন ক্লাস নিতে নির্দেশ দেন। তিনি ও মানা করতে পারেননা কারণ ওনাকেও ওনার সংসার চালাতে হবে। ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকে একটি বিষয় নিয়ে এই শিক্ষকটি বোজাতে শুরু করার পর পড়ুয়ারা থেকে অকথ্য ভাষায় মানসিক নিপীড়ন করতে শুরু করে। উনি যে পদ্ধতিতে বিষয়টি নিয়ে বোঝানো শুরু করেছিলেন, তা পড়ুয়াদের কাছে শক্ত মনে হওয়ার কারণে তারা তাদের শিক্ষককে নিয়ে মজা করতে থাকে।
এই ঘটনার ভিডিওটি শেষ হওয়ার পর একটি নাম দেখানো হয় -সৈয়দ মোহম্মদ ফাহিম । ফেসবুক থেকে আমরা এই নাম দিয়ে সার্চ করা শুরু করার পর প্রোফাইলটি পাই। প্রোফাইলে ঢুকে জানতে পারি এই ঘটনার কথা ৩০শে জুন ফাহিম তার প্রোফাইলে শেয়ার করে।
পুরো ঘটনাটি লেখার পর তিনি শেষ প্যারাগ্রাফে লেখেন ৫৫ বছর বয়সী এক শিক্ষকের কাল্পনিক কাহিনী।
একজন শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীদের কোনো বিষয়ের উপর জ্ঞান প্রদান করার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। এই ঘটনার পর ওনাকে গভীর মানসিক যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়, না হয় রাতে ভালো করে ঘুম।
https://www.facebook.com/syedmfahim/posts/10158626316914452
শেষ লাইনে তিনি লেখেন যে আমি কিছু দিন আগে জুম্ কলে এক শিক্ষকের তার ছাত্রদের থেকে নক্কারজনক ভাষায় মানসিক নিপীড়নের ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ সবাইকে যেন সুবুদ্ধি প্রদান করেন। বাংলাদেশে বসবাকারী ফাহিম নিজেও একজন শিক্ষক।
বাংলাদেশের শিক্ষক ফাহিমের সাথে যোগাযোগ করে আমরা এই ঘটনার কথা জানার চেষ্টা করি। উনি উত্তরে জানান, যে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। ওনার এই ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও বানানো হয়েছে যে এখন ভাইরাল।
https://www.facebook.com/100011736819091/videos/1090386348029249/
ইনস্টাগ্রামেও এই ভিডিওটি শেয়ার করে এই ঘটনার প্রতি নিন্দা ও সমবেদনা জানানো হয়েছে।
আমাদের অনুসন্ধানের দ্বারা প্রমাণিত যে India Today ও The Tribune এই দুই নামজাদা সংবাদ সংস্থা একটি কাল্পনিক ঘটনাকে সংবাদের আকারে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।
ফলাফল
কাল্পনিক ঘটনা False & Fabricated News
উৎস– Facebook profile: https://www.facebook.com/syedmfahim/posts/10158626316914452
Facebook Page: https://www.facebook.com/bongologyy/
Facebook Page: https://www.facebook.com/DCCSarcasmofficial/
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.