শনিবার, ডিসেম্বর 21, 2024
শনিবার, ডিসেম্বর 21, 2024

HomeFact Checkফেসবুকে ফের ভারতীয় বাচ্চার ছবি বাংলাদেশী বলে আর্থিক সাহায্যের নামে ছড়ালো

ফেসবুকে ফের ভারতীয় বাচ্চার ছবি বাংলাদেশী বলে আর্থিক সাহায্যের নামে ছড়ালো

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

ফেসবুকে সম্প্রতি হাসপাতালের বিছানায় শোয়া একটি বাচ্চার ছবি ভাইরাল হয়েছে যাকে ঘিরে দাবি করা হয়েছে বাচ্চাটি বাংলাদেশের আয়েশা আক্তার অলিভিয়া, বাড়ি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ার বিজয় নগর অঞ্চলে। তার বাবা মোঃ হেকিম মিয়া পেশায় অটো চালক। বাচ্চা মেয়েটি ফুসফুসে ছিদ্র ও কিডনিতে সমস্যা নিয়ে ব্রাহ্মণবেড়িযার আল খলিল হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তার এই কঠিন চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫লক্ষ টাকা যা তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না। তাকে বর্তমানে কিশোরগঞ্জের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

বাংলাদেশী বলে আর্থিক image 2
Courtesy: Facebook / Ahmed Raja

বাচ্চাটির ছবির সাথে তার মা বাবার ছবিও এই পোস্টে দেওয়া হয়েছে। পোস্টে আরো লেখা হয়েছে যদি কেউ এই বাচ্চাটির পরিবারকে সাহায্য না করতে পারেন তাহলে এই পোস্টটিকে ফেসবুকের সমস্ত গ্রুপে ছড়িয়ে দিন। পোস্টটিতে 1 Comment = 2 টাকা, 1 Share = 15 টাকা , 1 Group Share = 25 টাকা পাওয়া যাবে বলেও দাবি করা হয়েছে।

ফেসবুক থেকে এই একই পোস্ট আমরা পাই ২০২১ সালের যেখানে এই বাচ্চাটির নাম বলা হয়েছে শামীম বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের টুঙ্গীপুর গ্রামে। তার বাবা মোঃ শহিদুল ইসলাম একটি বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষক। দুই বছরের শামীম লিভার ক্যান্সারে ভুগছে। তার চিকিৎসার জন্য দরকার ৬ লক্ষ টাকা। তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা মিলে ২লক্ষ টাকা জোগাড় করেছে কিন্তু বাকি অর্থের জন্য খুলনায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারছে না। এখানেও বলা হয়েছে ফেসবুক গ্রুপে এই পোস্টটি শেয়ার করতে।

বাংলাদেশী বলে আর্থিক image 3
Courtesy: Facebook / H K Emran Ahmed

Fact check / Verification

অসুস্থ যে বাচ্চাটির ছবি বাংলাদেশী বলে আর্থিক সাহায্যের নামে ফেসবুকে ছড়িয়েছে সে আসলেই কি বাংলাদেশী না ভারতীয় তা জানার জন্য অনুসন্ধান করি আমরা। সম্প্রতি আমরা এই ধরণের আর্থিক সাহায্যের নামে ফেসবুকে ছড়ানো ছবির সত্যতা যাচাই করেছি। ফেসবুকে ভাইরাল আয়েশা আক্তার অলিভিয়া নামের বাচ্চাটির আসলে আশু সাইনি যার বাবার নাম রোহিতেশ ও মায়ের নাম যশোধা। তিন বছরের আশু কিডনির সমস্যা ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগের সাথে লড়াই করছিলো। কিন্তু ধীরে ধীরে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়াতে থাকে। এই পরিবারটিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলো Milaap নামের একটি NGO সংস্থা।

ভারতীয় বাচ্চার ছবি বাংলাদেশী বলে আর্থিক সাহায্যের নামে ফেসবুকে ছড়ালো

আরো পড়ুন: চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে ভারতীয় শিশুর ছবি ছড়ালো বাংলাদেশের নামে

Milaap এর ফেসবুকে আশুর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে ২০২১ সালের ৩০শে জুলাই পোস্ট করা হয়েছিল। একই ছবি যা বতমানে ফেসবুকে ছড়িয়েছে সেই ছবি প্রথমে Milaap থেকে আপলোড করা হয়েছিল। তাদের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে জয়পুরের Surya নামের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। কিডনি বিকল হাওর পর তার লিভারেও সমস্যা শুরু হয়। একটি সাধারণ তিন বছরের বাচ্চার শরীরে যে ভাবে লিভার, ফুসফুস কাজ করে আশুর শরীরে তা হচ্ছিলো না, যার জন্য তার শরীরের রক্তেরও সমস্যা দেখা দিয়েছিলো।

বাংলাদেশী বলে আর্থিক image 4

এখানে আশু সাইনির শারীরিক অসুস্থতার কথা বর্ণনা করা ডাক্তারের একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হলো।

বাংলাদেশী বলে আর্থিক  image 5

Conclusion

আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকে ২০২১ সালের আশু সাইনির ছবি বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ার আয়েশা আক্তার অলিভিয়া নামে ছড়িয়েছে যার চিকিৎসার জন্য নাকি ৫ লক্ষ টাকার দরকার।

Result: Imposter Content

Our Sources

Milaap Facebook Post: https://www.facebook.com/milaap/posts/10160193607716495

Milaap Website: https://milaap.org/stories/help-aashu-saini


সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Paromita Das
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Most Popular