Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি আমাদের হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে (9999499044) একটি মেসেজ এসেছে যেখানে বলা হয়েছে কর্ণাটকের হিজাব গার্ল মুসকান খানের মৃত্যু হয়েছে। এই দাবির সাথে একটি ছবি রয়েছে যেখানে হিজাব পড়া একটি মেয়েকে একটি ছেলে পাঁজাকোলা করে তুলে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। সঙ্গে লেখা হয়েছে মুসকান আর নেই
ভারত বর্ষে যে মেয়েটা আল্লাহু আকবার বলে আওয়াজ
দিয়ে বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়েছিল,সেই মুসকান বোনটাকে কাফেরের
দলেরা হত্যা করে ফেলেছে।
আল্লাহ তুমি এই বোন কে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন
আমিন আমিন ছুম্মা আমিন ।
কীওয়ার্ড দ্বারা খোঁজার পর আমরা ফেসবুকে ও টুইটারেও একই দাবি খুঁজে পাই।
এই বছরের জানুয়ারি মাসে কর্ণাটকে শিক্ষা প্রাঙ্গনে হিজাব পরে যাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। মহিলাদের সরকারি কলেজে হিজাব পরিধান করে আসা যাবে না এবং তা নিয়ে শুরু হয়েছিল। এই বিতর্কের জল এতদূর গোড়ায় যে কর্ণাটক হাইকোর্ট পর্যন্ত এই বিষয়ে নিজের মতামত জানাতে বাদ্য হয়। শেষ পর্যন্ত কর্ণাটক হাইকোর্ট থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে হিজাব নিষেধ করে। কারণ সমেত বলা হয় কোরান শরীফে কোথাও হিজাবকে বাধ্যতামূলক বলা হয়নি, তাই স্কুল, কলেজে কোথাও হিজাব পরাও বাধ্যতামূলক নয়।
Fact check / Verification
কর্ণাটকের হিজাব গার্ল মুসকান খানের মৃত্যু ঘটেছে এই খবরটি সত্যি কিনা জানার জন্য আমরা গুগলে কীওয়ার্ড দ্বারা খোঁজার পর 24update.net নামের একটি ওয়েবসাইটের লিঙ্ক পাই। এখানে বলা হয়েছে যে সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্প্রতি ছড়িয়েছে যে কর্ণাটকের হিজাব খ্যাত মুসকান খানকে নিয়ে দাবি করা হয়েছে যে তিনি আর এই পৃথিবীতে বেঁচে নেই। কর্ণাটকের উদুপিতে জয় শ্রীরামের ধ্বনি শুনেও আল্লা হু আকবরের নাম করতে করতে হিজাব পরে কলেজে প্রবেশ করে মুসকান আর এই মৃত্যু বিরল দৃশ্যের মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি হয়ে ক্ষনিকের মধ্যেই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। যদিও তার মৃত্যু সম্পর্কিত খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। এখানে বরং বলা হয়েছে ২০১৭ সালের মুসকানেরই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এই খবরটি ছাড়া মুসকানের মৃত্যু সম্পর্কিত আর কোনো খবর আমরা পাইনি।
আরো পড়ুন: কর্ণাটকের মুসকানকে কোনো হিন্দু ক্ষতি করার চেষ্টা করলে তুরস্ক ভারতের উপর আক্রমণ করবে? ভিত্তিহীন দাবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল
কর্ণাটকের হিজাব গার্ল মুসকান খানের মৃত্যু ঘটেছে এই খবরটি মিথ্যে
অন্যদিকে এই দাবিটির সাথে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তার রিভার্স ইমেজ করার পর আমরা Mid Dayর ২০১৭ সালের একটি লিংক পাই যেখানে এই মেয়েটির ছবিটি রয়েছে। ২০১৭ সালের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে কাশ্মীরে ২০১৬ সালের হিজবুল কমান্ডার বা বুরহান ওয়ানিকে হত্যা করার পর সেই আক্রোশের রেশ ফের দেখা যায় ২০১৭ সালের গরম কালে। বলা হয়েছে কাশ্মীরে পুরুষ কলেজ ছাত্রদের সাথে এই প্রথম মেয়েদেরকেও দেখা যায় সীমান্তরক্ষীদের দিকে পাথর ছুড়তে। এই বিক্ষোভে কিছু ছাত্রচারী আহত হয় তাদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় চিকিৎসালয়ে নিয়ে জন্য হয়েছিল। এই সময় তোলা হয় এই আহত কাশ্মীরি ছাত্রীটির ছবি যাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে কর্ণাটকের হিজাব গার্ল মুসকান খান বলে দাবি করা হয়েছে।
Indian Express এর রিপোর্ট অনুসারে ছাত্রছাত্রীরা মেহেবুবা মুফতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের মতে কলেজে প্রবেশ করে পুলিশের লোক ছাত্রছাত্রীদের লাথি পেটা করতে থাকে। প্রথমে কাশ্মীরের লাল চৌক সিটি সেন্টারের এসপি কলেজের সুডেন্টরা ক্লাস বয়কট করে এবং তারপর ধীরে ধীরে এই বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পুলওয়ামা কলেজের ছাত্রীরাও হাতে পাথর নিয়ে পুলিশ ও সীমান্তরক্ষীদের দিকে ছুড়তে থাকে।
এছাড়াও আমরা মুসকানের পিতার সাথে যোগাযোগ করি এবং ওনাকে জানাই যে মুসকানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কি দাবি করা হচ্ছে। তিনি সাফ জানান যে এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল দাবি কর্ণাটকের হিজাব গার্ল মুসকান খানের মৃত্যু ঘটেছে এই খবরটি মিথ্যে এবং এর সাথে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেটি ২০১৭ সালের কাশ্মীরের।
Result: Fabricated content / False
Our sources
24update.net – https://24update.net/what-happened-with-muskan/
Mid-day – https://www.mid-day.com/lifestyle/health-and-fitness/article/sunday-midday-lifestyle-news-girls-stone-pelting-kashmir-srinagar-national-18209180
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.