Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
( এই প্রতিবেদনটি Newschecker English এ সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছে )
ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীন, জাপান ও আমেরিকাতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার মাঝে হোয়াট্সঅ্যাপে ভাইরাল হতে শুরু করেছে ‘XBB omicron variant’ কেন্দ্রিক বার্তা। যেমন এই ভাইরাসটি কি করে ছড়ায়, এর থেকে কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ ইত্যাদি।
ভাইরাল মেসেজে বলা হয়েছে ‘কোভিড- ওমিক্রনের XBB ভেরিয়েন্ট ডেল্টা ভেরিয়েন্টের থেকেও ৫গুন্ বেশি ক্ষতিকর ক্ষমতা রাখে এবং এই ভাইরাসে মৃত্যুর হারও অনেক বেশি হবে। আরো বলা হয়েছে এর উপসর্গ গুলো চেনা উপসর্গের থেকে আলাদা হবে। জ্বর,সর্দি, কাশির তুলনায় গাঁটে ব্যথা, ঘাড়ে ও পিঠের ওপরের দিকে ব্যথা, মাথায় যন্ত্রনা এমনকি নিমোনিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।’
Fact check / Verification
XBB ভেরিয়েন্ট নিয়ে যে বার্তাটি ভাইরাল হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এটি ভুয়ো বার্তা। এখানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের টুইটটি দেখা যেতে পারে যেখানে বলা হয়েছে ‘কোভিড ১৯এর নতুন ভেরিয়েন্ট একটি সতর্ক বার্তা হোয়াট্সঅ্যাপের গ্ৰুপে ভাইরাল হয়েছে যা প্রকৃতপক্ষে জাল’ .
এটি ছাড়াও আমরা DIPR Kathua র একটি টুইট পাই যেখানে এই মেসেজটিকে ভুয়ো বলা হয়েছে।
XBB ভাইরাসটিকে সর্বপ্রথম ১৩ই অগাস্ট ২০২২ চিহ্নিত করা গিয়েছিলো এবং এই ভেরিয়েন্টের তীব্রতা ও পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এখানে পাওয়া যাবে। WHO এর কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি এর আগে সিঙ্গাপুর, ভারত ও আরো অন্যান্য কিছু দেশে এই ভেরিয়েন্টের খোঁজ পায়, কিন্তু কোনো কিছুতেই এমন কোনো প্রমান পাওয়া যায়নি XBBতে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাবে। এখানে বলা হয়েছে ‘While further studies are needed, the current data do not suggest there are substantial differences in disease severity for XBB* infections’ এখানে লেখা হয়েছে।
XBB ভাইরাসটি আরো অনুসন্ধান করার পর জানতে পারি এটি ওমিক্রন ভাইরাসের উপবংশ মাত্র যা কিনা ডেল্টা ভাইরাসের থেকেও কম ক্ষতিকারক। অর্থাৎ XBB ভাইরাসটি ডেল্টার থেকেও বেশি তীব্রতা ররাখে এই দাবিটি ভুল।
আমরা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ এর প্রাক্তন মহামারী ও সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান ডঃ আর গঙ্গাখেদকারের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি জানিয়েছেন ওমিক্রনের XBB ভেরিয়েন্টকে নিয়ে যে মেসেজটি ভাইরাল হয়েছে তা তথ্যগত দিকে থেকে ঠিক না।
‘যা বলা হয়েছে এই ভাইরাল মেসেজে, ওমিক্রনের মতোই XBB ভাইরাস দ্বারা আক্রান্তদের মধ্যেও একই ধরণের উপসর্গ দেখা যায় এবং যা অতি সহেজেই চিকিৎসাও করা হয়। এই রোগেও রোগীর জ্বর, কাশি, হালকা গায়ে ব্যথা অনুভূত হয়। কিন্তু দেখা গেছে এই ভাইরাসে আক্রান্তরা হাসপাতালে কম ভর্তি হয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যাও যথেষ্ট কম এবং এই ভাইরাসটি ভারতে নতুন নয়। XBB ডেল্টার থেকেও বেশি মহামারী ছড়াতে পারে এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে’ .
যখনই জেনোম সিকোয়েন্সিঙ তথ্য প্রকাশিত হয়, কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাকে নিয়ে ভুয়ো খবর রটিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরী করে’ এমনটা বলেছেন ডঃ আর গঙ্গাখেদকার।
আমরা WHO এর ওয়েবসাইটে আরো খোঁজার পর জানতে পারি করোনা মহামারী ছড়ানোর পর থেকে তাদের প্রদত্ত ডেটার মধ্যে এখনো পর্যন্ত ওমিক্রনকেই উদ্বেগের কারণ রূপে বলা হয়েছে যেখানে বিশেষত B.1.1.529 ভেরিয়েন্টের উল্লেখ করা হয়েছে XBB নয়।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে XBB ভেরিয়েন্ট নিয়ে হোয়াট্সঅ্যাপে ভাইরাল বার্তাটির কোনো সত্যতা নেই। এই ভাইরাসটি ডেল্টার থেকেও ৫গুন ক্ষমতা শালী এই দাবিটি ভুল।
Result: False
Our Sources
Tweet by Ministry of Health and Family Welfare, on December 22, 2022
Tweet by Information & PR, Kathua, on December 22, 2022
Press note by WHO on October 22, 2022
Conversation with Dr R Gangakhedkar, former head of epidemiology and communicable diseases at the Indian Council of Medical Research
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.