Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি আমাদের হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে একটি বার্তা এসে যেখানে বলা হয়েছে সুইস ব্যাংকে ভারতীয় নেতাদের কালো টাকার তালিকা প্রকাশ করলো Wikileaks. এই মেসেজটিতে গান্ধী পরিবারের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর যেমন নাম রয়েছে তেমনি, লালু প্রসাদ যাদব, জয়া ললিতা, করুণানিধি, পি চিদাম্বরমের সাথে আরো অনেক নেতা মন্ত্রীদের নাম রয়েছে।
উইকিলিকস সুইস ব্যাংকে কালো টাকা রাখার ভারতীয়দের প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রথম 24 টি নাম নিম্নরূপ।
(পরিমাণ ডলার হয়) 1 – সোনিয়া গান্ধী (56800000000000) 2 – এ রাজা (780000000000) 3 – রাহুল গান্ধী (15800000000000) 4 – শারদ পাওয়ার (8200000000000) 5 – পি চিতাম্বরম (15040) 6 – দিগ্বিজয় সিং (289000000000000) 7 – আহমেদ প্যাটেল (900000000000) 8 – জয় ললিতা (1500000000000) 9 – হরিশ রাওয়াত (7500000000000) 10 – কপিল সিবাল (2800000000000) 11 – সুরেশ কলমাদি (590000000000) 12 – অশোক গেহলট (2200000000000000) 13 – অশোক চৌহান (7688800000000) 14- শ্যাম কমপালি (58211400000000) 15- রাজীব গান্ধী (1980000000000) 16- হর্ষদ মেহতা (13580000000000) 17- কেতন পারেক (820000000000) 18- এইচডি কুমারস্বামী (1450000000000) 19- লালু প্রসাদ যাদব (2890000000000) 20 – জে এম সিন্ধিয়া (900000000000) 21-কালানিধিমারন (1500000000000) 22- করুণানিধি (3500000000000) 23- সুরেশ কলমাদি (590000000000) 24- জয়দীপ মেলোন (18900800000000) সুইস ব্যাংকে জমা পড়ে ভারতীয় কালো টাকা 358,679,863,300,000 (প্রায় 1.3 ট্রিলিয়ন ডলার), এই অর্থটি সেই 2000 ইন্ডিয়ানদের, যারা এটি ট্যাক্স ছাড়ের জন্য সেখানে জমা করেছেন।এই অর্থ ভারতকে 10 আমেরিকা করার জন্য এবং পরবর্তী 100 বছরের জন্য ভারতকে একটি উন্নত পরাশক্তি দেশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট …দেশ ভাগ হওয়ার সময় সরকার কে ছিল ??পাকিস্তান দখলকৃত কাশ্মীর হয়ে গেলে কার সরকার ছিল ??মুম্বাই যখন আক্রমণ করেছিল তখন সরকার কে ছিল ??চীন যখন জমি দখল করেছিল তখন সরকার কে ছিল ??যখন সাহসী সৈন্যদের মাথা কেটে দেওয়া হয়েছিলপাকিস্তানীরা যখন নেওয়া হয়েছিল তখন কার সরকার ছিল ??বোফর্স কেলেঙ্কারী যখন হয়েছিল তখন সরকারকে ছিল ??তারা সৈন্যদের ইউনিফর্মের টাকা খেয়েছিল কার সরকার ছিল ??সরদারদের যে সরকার হত্যা করেছিল কে ছিল ??সিমলার চুক্তিতে দেশটি মূল্যহীন।পাকিস্তানকে জমি দেওয়ার সময় কার সরকার ছিল?আসামে যখন হিন্দুদের রক্ত ঝরানো হয়েছিল, তখন সরকার কে ছিল ??সরকার যখন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা করা হয়েছিল কে ছিল ??যখন কমনওয়েলথ কেলেঙ্কারী হয়েছিল, সরকার কে ছিল ??কয়লা কেলেঙ্কারী হয়েছিল তখন কার সরকার ছিল ??2 জি কেলেঙ্কারী হওয়ার সময় কার সরকার ছিল ??
ফেসবুক থেকেও পাওয়া এই বার্তাটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে যে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে এই সব কালো টাকা গুলো যদি দেশে আসে তাহলে সবার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। যেহেতু এই ধনরাশি বিদেশে জমা আছে তাই কিছু আইনি জটিলতার কারণে তিনি এখনো পর্যন্ত দেশে ফেরাতে পারেননি, কিন্তু তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের টাকা দেশের মানুষের কাজে লাগানোর জন্য।
Fact -check / Verification
২০১৪ সালের নরেন্দ্র মোদী বিজেপির মুখ হয়ে লোকসভা নির্বাচনে জেতেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন। এই সময় থেকেই তিনি গান্ধী পরিবারের কালো টাকা বিদেশে রয়েছে তা প্রচার করে আসছেন। ২০১৪ সালে এই কালো টাকার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিলেও, ২০১৬ সালে নোটবন্দি করার মাধ্যমে তিনি দাবি করেন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার পেছনে কারণ রয়েছে কালো টাকা।
২০১৬র নভেম্বরে নোটবন্দি করার পর তিনি ভারতীয়দের জানান এই নোটবন্দির মাধ্যমে দেশে টাকার অবৈধ লেনদেন বন্ধ হবে, জনগণের টাকা তাদের হাতে ফিরে আসবে। ওনার মতে ভারতে যেসব ঘুষখোর নেতা-মন্ত্রী আছেন তাদের কাছ থেকে দেশের সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষদের কষ্টের উপার্জন ফের তারা ফেরত পাবে। কালোটাকা দেশে আসলে প্রত্যেকের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঢুকবে বলেও জানান মোদী।
আরও পড়ুন :পাঁঠার মাংস থেকে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস?
সুইস ব্যাংকে ভারতীয় নেতাদের কালো টাকার কথা শুধু মোদী নয়, বিজেপির অনেক নেতার মুখেই শোনা গেছে। তাদের দাবি স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের সার্বিক উন্নতির দায়ভার ছিল গান্ধী পরিবারের উপর। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন না করে দেশের অর্থ নিজেদের কুক্ষিগত করেছে। বছরের পর বছর ধরে ভারতের রাজসিংহাসনে বসে এই দেশের টাকা লুঠ করে নিজের সম্পত্তির পরিমান বাড়িয়েছে।
সুইস ব্যাংকে ভারতীয় নেতাদের কালো টাকার তথ্য Wikileaks প্রকাশ করেছে এবং তাতে যে রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের নাম রয়েছে, ভাইরাল বার্তায় তাদের সম্পর্কে দেওয়া টাকার অংকের পরিমান কতটা সঠিক তা জানার জন্য আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। আমরা Wikileaks এর ওয়েবসাইটে খোঁজ করি এই ধরণের কোনো তালিকা তারা প্রকাশ করেছে কিনা এবং তাতে কার কার নাম আছে।
সুইস ব্যাংকে ভারতীয় নেতাদের কালো টাকার তথ্য Wikileaks বের করেছে – এটি একটি জাল দাবি
সুইস ব্যাংকে ভারতীয় নেতাদের কালো টাকার তালিকা প্রকাশ করেছে Wikileaks সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। Wikileaks এর ওয়েবসাইটে আমরা একটি প্রতিবেদন পাই যেটি প্রকাশ হয়েছে ২০১৯ সালের ১২ই নভেম্বরে এবং এতে ভারতীয় নেতাদের কালোটাকার কোনো হদিশ দেওয়া নেই। অর্থাৎ এই দাবিটি জাল।
আমাদের অনুসন্ধানে আমরা Wikileaks এর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ২০১১ সালের একটি টুইট পাই যেখানে বলা হয়েছে ভারতীয়দের কালো টাকার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে Wikileaks এর ওয়েবসাইটে, কিন্তু এই খবরটি গুজব।এই ধরণের কোনো রিপোর্ট তাদের ওয়েবসাইটে নেই বলে দাবি করা হয়েছে।
Conclusion
ফেসবুকে ভাইরাল দাবি সুইস ব্যাংকে ভারতীয় নেতাদের কালো টাকার তালিকা Wikileaks এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এই দাবিটি নিয়ে অনুসন্ধানের সময় আমরা জানতে পারি এই দাবিটি মিথ্যে। এই ধরণের কোনো তালিকা পাওয়া যায়নি Wikileaks এর ওয়েবসাইটে।
Result- False claim
Our source
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.