Authors
Claim: বুলডোজার দিয়ে মসজিদ ভাঙছে কমিউনিস্ট দেশ চিন।
Fact: মসজিদ ভাঙার ভিডিয়োটি চিনের নয়, বরং ২০২৩ সালের তুরস্কের।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করে সেটাকে চিন সরকারের দ্বারা মসজিদ ভেঙে ফেলার বলে দাবি করা হচ্ছে। ভিডিয়োটি ফেসবুকে পোস্ট করে লেখা হয়েছে,” কমিউনিষ্ট আদর্শকে সামনে রেখেই চিনে ভাঙা হচ্ছে মসজিদ… মুসলীম থেকে কনভার্ট করা হচ্চে চৈনিক ধর্মে। চিনের এই পদক্ষেপকে জানাই লাল সালাম।” (পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)
একই দাবি-সহ আরও একটি পোস্ট দেখা যাবে এখানে।
Fact Check/Verification
ভাইরাল দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিয়োর একটি কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। এর ফলে, একই ভইডিয়ো সম্বলিত একটি দীর্ঘ ভিডিয়ো তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ‘Aykırı’-এর এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিয়োটি ২৬ ফেব্রুয়ারি,২০২৩ সালে পোস্ট করা হয়েছিল এবং যার ক্যাপশন থেকে জানা যায়- ভূমিকম্পের পরে ক্ষতিগ্রস্ত মিনারকে ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছিল। যে কর্মকর্তা ওই কাজের তদারকি করেছিলেন তিনি আহত হয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুলে উঠেছিল তুরস্ক-সহ সিরিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। এর ফে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের ২ মার্চ তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ‘EnsonHaber’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভূমিকম্পে প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আদানা শহরটি। ওই শহরের ২০০টি বাড়ি ও বহু মসজিদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ১৪৭৪টি মসজিদের মধ্যে ৭টির মিনার সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছিল। ১৫০টি মিনারের অবস্থা ছিল শোচনীয়। সেই কারণে ওই সমস্ত মিনারগুলো ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তুরস্কের সরকার। ভিডিয়োতে সেই কাজটাই করতে দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া তুরস্কের আরও কয়েকটি খবরের ওয়েবসাইট Sondakika, IHA.com-এও একই খবর, একই ভিডিয়ো ও তথ্য-সহ প্রকাশিত হয়েছিল।
Conclusion
সুতরাং এখান থেকেই স্পষ্ট যে, বুলডোজার দিয়ে মসজিদ ভাঙার ভিডিয়োটি চিনের নয়, বরং ২০২৩ সালের তুরস্কের।
Result: False
Sources:
Video published on EnsonHaber
Video published on Sondakika, IHA.com