Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
ফেসবুকে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে যে মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার বন্ধ করে দেওয়ার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজান দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি দুই দিন আগে ফেসবুকে SK Rafijuddin পোস্ট করেছেন।
একই ভিডিও আরো কিছু ফেসবুকে ব্যবহারকারীরা পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছে – ‘ভারতের মুসলিম ভাইদের স্যালুট! আজান সাউন্ড স্পিকারে বন্ধ করে দেওয়ায় এক সাথে রাস্তায় আজান’
টুইটারেও যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিওটি। হিন্দি সংবাদ চ্যানেল সুদর্শন থেকেও এই ভিডিওটিকে ট্যুইট করেছেন টিভির সঞ্চালক।
সম্প্রতি মসজিদে লাউড্স্পীকার বন্ধের পর সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মসজিদে মাইকে আজান দেওয়া রদ হওয়ার পর অনেকেই এতে খুশি হয়েছেন। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশে শুধু মসজিদে নয়, মন্দিরেও যেখানে অবৈধ মাইক লাগানো ছিল তা খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে বিশেষত মুম্বাইয়ে বেশকিছু মসজিদে নিষিদ্ধ করেছে শিবসেনা সরকার।
Fact check / Verification
মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার বন্ধ করে দেওয়ার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজান দেওয়ার নামে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা প্রথমে InVid টুলের দ্বারা কিছু ফ্রেমে ভাগ করে নিয়ে এবং কীওয়ার্ড দ্বারা অনুসন্ধান শুরু করি। এই পর্যায়ে আমরা ফেসবুকের একটি লিংক পাই যেখান থেকে আমরা নিশ্চিত হই যে এই ভিডিওটি ২০২২ সালের নয়, ২০২০ সালে আপলোড করা হয়েছিল।
ফেসবুকের এই ৭ই এপ্রিল ২০২০ সালের ভিডিওটিতে প্রতিটি ছবি বেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিলো। এই ভিডিওতে আমরা দেখি রাস্তার পশে কিছু দোকান রয়েছে যার মধ্যে একটি দোকানের একটি জায়গায় লেখাছিল Dr. N RAI HOMEOPATH এবং Howrah লেখাটি দেখি।
গুগল থেকে আমরা হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক ডঃ এন রাই এর ফোন নম্বর জোগাড় করে আমরা ওনার সাথে যোগাযোগ করি। জানতে পারি ওনার যে ক্লিনিকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সেটি হাওড়াতে ছিল কিন্তু দুই বছর আগে সেটা বন্ধ হয়ে যায়। ওনাকে আমরা ভাইরাল ভিডিওটি পাঠানোর পর তিনি সেটিকে দেখে বলেন এই ভিডিওটি ওনার ক্লিনিকের সামনের রাস্তার ভিডিও। অর্থাৎ ভিডিওটি মহারাষ্ট্রের নয়, হাওড়ার।
মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার বন্ধ করে দেওয়ার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজান দেওয়ার নামে ভাইরাল হাওড়ার ভিডিও
এছাড়াও আমরা এই ভিডিওতে New Shimla Biriyani , GT Road, Pilkahna North Howrah, West Bengal 711101, লেখা একটি সাইনবোর্ড পাই। গুগলে খোঁজার পর জানতে পারি এই বিরিয়ানির দোকানটি হাওড়ার আন্দুলে অবস্থিত। দোকানের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার ভিডিওটির সম্পর্কে জানতে চাই, কিন্তু তিনি ভিডিওটির সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হন।
আরো গভীর অনুসন্ধান করার পর আমরা গুগল ম্যাপ থেকে আশরাফ মেডিকেল হল নামের একটি ওষুধের দোকান দেখি পাই Dr. N RAI HOMEOPATH এর পাশে। আমরা এই দোকানের ফোন নম্বর জোগাড় করে তাদের সাথে কথা বলি এবং ভাইরাল ভিডিও মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার বন্ধ করে দেওয়ার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজান দেওয়ার নামে যে ভিডিওটি ছড়িয়েছে তার আসল ঘটনা কি জানার চেষ্টা করি।
জানতে পারি ২০২০ সালে কলকাতা ও সারা দেশে যখন লকডাউন চলছিল তখন এইভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহের কাছে দোয়া করতে যাতে খুব তাড়াতাড়ি এই বিভীষিকা থেকে দেশ ও পৃথিবী মুক্তি লাভ করে। করোনার সময় পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল, বন্ধ ছিল মন্দির মসজিদ। তাই তারা সেইদিন এই ভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রার্থনা করেছিল।
এরপর আমরা হাওড়ার পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরের সাথে যোগাযোগ করি। তিনি জানিয়েছেন এই ভিডিওটি ২০২০ সালের লকডাউনের সময়ের। যা বর্তমানে বিভ্রান্তিকর দাবির সাথে জুড়ে শেয়ার করা হয়েছে।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকে মহারাষ্ট্রে লাউডস্পিকার বন্ধ করে দেওয়ার পর রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজান দেওয়ার নামে যে ভিডিওটি ছড়িয়েছে তা আসলে কলকাতার হাওড়ার। ২০২০ সালের এই ভিডিওটি লকডাউনের সময়ের যা এখন মসদিজে লাউডস্পিকার বন্ধ হওয়ার আবহে ভাইরাল হয়েছে।
Result: False Context/False
Our Sources
Facebook Post of April 7, 2020
Quote of Howrah CP C. Sudhakar
Quotes from the owner of Medical store and Dr. N Rai
Self Analysis using Google and Maps
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.