Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি ফেসবুকে একটি রেল স্টেশনে ভাংচুরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে নামাজের সময় ট্রেনের আওয়াজ দেওয়ার জন্য মহিষাসুর স্টেশনে ভাংচুর চালালো মুসলিমরা। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের বলা হয়েছে। ভিডিওটির সাথে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘রেল স্টেশনে শান্তির দূতদের ভাংচুর, তেনাদের নামাজের সময়ে ট্রেনের আওয়াজ খুব অসুবিধা করে….আসলে কথাটা সত্যিই…..”সরকার যারই হোক, সিস্টেম তো ওদের হাতেই”___এটা পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের নওপাড়া মহিষাসুর স্টেশন।।’
এখানে টুইটার থেকে পথ কিছু লিংক দেওয়া হলো
দেশ জুড়ে বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলোতে নামাজের সময় জোরে জোরে মাইকে আজান দেওয়ার বিরোধিতার বেশ কিছু খবর সামনে আসছিলো। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে সম্প্রতি মন্দির ও মসজিদ থেকে অবৈধ ভাবে লাগানো উচ্চস্বরের মাইক খোলার আদেশ দিয়েছে যোগী। অনেকেই মনে করছেন এতে সাম্প্রদায়িক শান্তিও বজায় থাকলো নয়তো এটাই পররবর্তী কালে দাঙ্গার রূপ নিতো।
Fact check / Verification
মুর্শিদাবাদে নামাজের সময় ট্রেনের আওয়াজ দেওয়ার জন্য মহিষাসুর স্টেশনে ভাংচুর চালিয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এই দাবিটির সত্যতা যাচাই করার সময় আমরা কিছু কীওয়ার্ড দ্বারা আমাদের অনুসন্ধান শুরু করি। এই পর্যায়ে আমরা একটি ফেসবুকের লিংক পাই যেখানে বর্তমানে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছিল ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৯ সালে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে নোয়াপাড়া স্টেশনে কিছু জিহাদিদের দল ভাংচুর চালায়।
এই সূত্র ধরে এগোতে আমরা Struggle for Hindu Existence নামের একটি ওয়েবসাইটে এই খবরটি পাই। এখানে একটি ইউটুউব লিঙ্কও ও আমরা পাই। বলা হয়েছে মসজিদে লাউড্স্পীকার বাজানোর আবহে নামাজের সময় ট্রেনের আওয়াজ দেওয়ার জন্য মহিষাসুর স্টেশনে ভাংচুর চালিয়েছে মুসলিমরা এই দাবি সমেত ভিডিওটি ভাইরাল হলেও আসলে এটি ২০১৯ সালের CAA NRC বিক্ষোভের সময়ের। আগের পাওয়া ফেসবুকের লিংক ও এই রিপোর্টে ইউটুউব ভিডিও প্রমান করে ভিডিওটি সাম্প্রতিক কালের নয়, বরং বছর তিনেক পুরোনো।
নামাজের সময় ট্রেনের আওয়াজ দেওয়ার জন্য মহিষাসুর স্টেশনে ভাংচুর চালানোর নামে ছড়ালো ২০১৯ সালের ভিডিও
ইউটুউব ও ফেসবুক লিংক ছাড়াও আমরা Indiarailinfo থেকেও এই ঘটনার বিবরণ পাই। জানা গিয়েছে ১৩ই ডিসেম্বর ২০১৯ সালে শিয়ালদহ প্যাসেঞ্জের ট্রেন ও আরো অন্যান্য ট্রেন কয়েক ঘন্টার জন্য বাতিল হয় কারণ মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা লাইনে হটাৎ আন্দোলনের ও অবরোধের সূচনা হয়।
গুগলে কীওয়ার্ড দ্বারা খোঁজার পর আমরা ১৫ই ডিসেম্বর ২০১৯ সালে প্রকাশিত এই সময়ের একটি রিপোর্ট পাই। কেন্দ্রে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস্ হওয়ার পর বাংলার বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভ অবোরোধ শুরু হয়। জানা গিয়েছে উলুবেড়িয়া, মালদা ও মুর্শিবাদের বেশ রেল স্টেশনে আগুন লাগানো, ভাংচুরের মতো ঘটনা ঘটে। এখানে আমরা মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ঘটনার কথা জানতে পারি। শুধু স্টেশনে নরায় চারটির মতো ট্রেনেও আগুন জ্বালানো হয়েছিল CAA NRC বিক্ষোভের সময়ে। এই ধরণের ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তার মাধ্যমে জানান যে তিনি পশ্চিমবঙ্গে CAA NRC হতে দেবে না। অযথা বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে ও বিভ্রান্ত না হয়ে শান্ত থাকার কথা বলেন মমতা। ভুল বোঝাবুঝির কারণে অকারণ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা যাতে তৈরী না হয় তার জন্য রাজ্যবাসীকে কোনোরকম প্ররোচনায় কান দিতে নিষেধ করেছিলেন।
আমরা মালদার রেল বিভাগের জেলা ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করি। এই অফিস থেকে জানতে পারি যে এই ঘটনাটির সাথে নামাজ পড়ার কোনো যোগ নেই। ঘটনাটি ২০১৯ সালের CAA NRC কেন্দ্রিক বিক্ষোভের।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে আমরা বলতে পারি সোশ্যাল মিডিয়াতে মুর্শিদাবাদে নামাজের সময় ট্রেনের আওয়াজ দেওয়ার জন্য মহিষাসুর স্টেশনে ভাংচুর চালানোর নামে যে ভিডিওটিকে শেয়ার করা হচ্ছে তা আসলে ২০১৯ সালের ভিডিও।
Result: False context/ False
Our sources
Ground Verification
Ei Samay news – https://eisamay.com/nation/do-not-hand-over-the-law-by-vandalizing-the-blockade-of-fire-dhanakharas-message-to-the-chief-minister-to-celebrate-the-monarchy-opposition-is-spreading-unrest-for-polarization/articleshow/72621983.cms
Indianrailinfo – https://indiarailinfo.com/station/blog/naopara-mahishasur-nwms/8829
Struggle for Hindu Existence
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.