Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি দেশ জুড়ে ঘটে চলা অপরাধ, খুন, ধর্ষণের একটি বার্ষিক তথ্য প্রকাশ করেছে এনসিআরবি (NCRB) বা National Crime Records Bureau আর সেই আবহে ভাইরাল হয়েছে একটি দাবি দেশের মধ্যে কলকাতা মেয়েদের জন্য নিরাপদ শহর। মহিলাদের সুরক্ষার নিরিখে ভারতের অন্যান্য রাজ্য ও শহরের তুলনায় কলকাতাকে মেয়েদের জন্য উৎকর্ষ স্থান রূপে নির্বাচিত করা হয়েছে।
কলকাতা মেয়েদের জন্য নিরাপদ এই দাবিতে ফেসবুকে বেশ কিছু পোস্ট শেয়ার হয়েছে কিছু দিন ধরে যার মধ্যে বাংলার গর্ব মমতা নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই জাতীয় পোস্ট করা হয়েছে এবং পোস্টটি যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে।
এখানে পোস্টে একটি তথ্য দেওয়া হয়েছে যেখানে ভারতের প্রধান প্রধান শহরে অপরাধ প্রবণতার হার কত তা নিয়ে। যেমন কলকাতায় অপরাধের হার ১২৯.৫, রাজধানী দিল্লিতে ১৬০৮.৬ শতাংশ। পোস্টটিতে দেওয়া তথ্য অনুসারে সব থেকে বেশি অপরাধ প্রবণতার হার রয়েছে চেন্নাইতে ১৯৩৭.১ শতাংশ।
এখানে দেখা যেতে পারে ফেসবুকে এই দাবিটি কতটা ভাইরাল হয়েছে।
টুইটারেও এই পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে
Fact-check / Verification
সম্প্রতি বঙ্গের নির্বাচনের সময় ভারতীয় জনতা পার্টি ও তৃণমূল নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে নারী সুরক্ষা নিয়ে একে অপরকে কটাক্ষ করেছিল। তৃণমূলের দাবি ছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনো বয়েসের নারীরাই সুরক্ষিত নয়, এমনকি প্রশাসনও এই ব্যাপারে অপদার্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রমান স্বরূপ হাতরাসের ঘটনার উদাহরণ দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিজেপির দাবি ছিল যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সেই রাজ্যের মহিলারাদের প্রতি নিয়ত লাঞ্চিত হতে হচ্ছে। এনসিআরবি রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২০ সালের সব থেকে সুরক্ষিত শহর হলো তিলোত্তমা কলকাতা কিন্তু ভাইরাল দাবি কলকাতা মেয়েদের জন্য নিরাপদ শহর এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী এটির সত্যতা জানার জন্য আমরা পর্যবেক্ষণ শুরু করি ।
এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারে কলকাতা মেয়েদের জন্য নিরাপদ এই তথ্যটি বিভ্রান্তিকর
সোশ্যাল মিডিয়াতে দাবি করা হয়েছে কলকাতা মেয়েদের জন্য নিরাপদ এবং এই তথ্যটি পাওয়া গেছে এনসিআরবি (NCRB) বা National Crime Records Bureau তে। কিন্তু এনসিআরবি ২০২০এর রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। সাম্প্রতিকতম এনআরসিবি রিপোর্ট অনুসারে ২০২০ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের সংখ্যা হলো ৩৬৪৩৯। মহিলা সুরক্ষার নিরিখে সব থেকে খারাপ রাজ্য হলো উত্তর প্রদেশ যেখানে ২০২০ সালে সংখ্যাটি ছিল ৪৯৩৮৫।
এবার আমরা কথা বলবো আদৌও এই দাবিটি সত্যি কিনা যা কলকাতা মেয়েদের জন্য নিরাপদ কিনা, অথবা ভারতের মধ্যে মহিলাদের জন্য সব থেকে নিরাপদ শহর পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ?
তথ্য অনুসারে কোন শহরে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ কম হয়েছে সেই তালিকায় সবার প্রথমে নাম রয়েছে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরের। এনসিআরবির রিপোর্ট অনুয়ারে ২০২০ সালে মহিলা নির্যাতনের সংখ্যাটি হলো ৯৭টি, তার পর আসছে কেরলের কোজিকোড়ের নাম, এখানে সংখ্যাটি হলো ৩৯৪, এবং কোচিতে ৪০৩, বিহারের পাটনার সংখ্যাটি হলো ৪৯৫ এবং পুনরায় তামিলনাড়ুর চেন্নাই যেখানে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধের সংখ্যা ৫৭৬।
যদি ২০২০ সালে কলকাতায় ঘটা মহিলা নির্যাতনের সংখ্যা দেখি তাহলে সেটি হলো ২০০১। এক লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে নারী নির্যাতনের সংখ্যার হারও যদি আমরা দেখি তাহলেও সেখানে প্রথমে কলকাতার নাম নেই, রয়েছে কোয়েম্বাটোরের, ৯%, তারপর চেন্নাই ১৩.৪% এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা ২৯.৫%. অর্থাৎ এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারে বলা যেতে পারে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোর নারীদের জন্য সব থেকে সুরক্ষিত শহর।
এই প্রসঙ্গে আমরা Hindustan Times এর একটি রিপোর্ট পেয়েছি যেখানে কলকাতা নয়, মহিলাদের বিরুদ্ধে কম অপরাধের শহর বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটরকে।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল দাবি এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারে কলকাতা মেয়েদের জন্য নিরাপদ শহর এই দাবিটি বিভ্রান্তিকর। এনসিআরবি (NCRB) বা National Crime Records Bureau রিপোর্ট অনুসারে নারী নির্যাতনে উত্তর প্রদেশের পরেই পশ্চিমবঙ্গের স্থান রয়েছে।
Result – Misleading
Our source
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন ।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.