Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি: মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ এক ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে উতাল হয়ে ওঠে মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্র । পুলিশ প্রশাসন ও আমেরিকান সরকারের এহেন ব্যবহারের জন্য সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই আবহে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে যেখানে দাবি করা হয়েছে যে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের উপর আক্রমণ করেছে। টুইটার থেকে আমরা এই ভিডিও পাই।
helo app থেকেও আমরা এই ঘটনার ভিডিও পাই। নিচে শেয়ার হওয়া ভিডিও ও স্ক্রিনশট দেওয়া হলো।
বিশ্লেষণ: ২০২০ সাল যেন মানবজাতির জন্য উপযুক্ত বছর নয়। প্রতি পদে পদে প্রমান হচ্ছে এই কথাটা। করোনা ভাইরাস থাকে শুরু করে সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন লেগেই আছে তেমনি কোথাও আবার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো সমগ্র মানব জাতির জন্য যথেষ্ট বিচলিত করার মতো ঘটনা।
২৫শে মে আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক ব্যক্তিকে ডিউটিতে থাকা মিনিয়াপোলিসের কিছু পুলিশ মিলে শ্বাস রোধ করে খুন করে। সন্দেহের বশে ফ্লয়েডের গাড়ি আটকে পুলিশ ফুটপাথে নামিয়ে আনে তাকে এবং প্রায় ৯ মিনিটের মতো সময় জুড়ে তার ঘাড়ের উপর হাঁটু দিয়ে চেপে বসে থাকে এক পুলিশ কর্মী। অন্য পুলিশ কর্মীরা তখন এই ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শীদের ওই স্থান থেকে সরানোর কাজে ব্যস্ত ছিল। ফ্লয়েডের শেষ কথা’ নিশ্বাস নিতে পারছি না মা ‘ আজ এক ভাইরাল ভিডিওতে পরিণত হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকে আমেরিকাকে নৈরাজ্য গ্রাস করেছে। চারিদিকে শুধু বিক্ষোভ, মিছিল, লুটতরাজের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্র। কোথাও মানুষ শান্তি পূর্ণ মিছিল করেছে হাতে মোমবাতি, প্ল্যাকার্ড, মুখে মাস্ক পরে আবার কোথাও বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করছে, রাস্তার পাশের দোকান ভেঙ্গে লুটপাট চালাচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে। এমনকি এই ঘটনার জেরে ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে গান্ধী মূর্তির উপর আক্রমণ হয়।
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউসের উপর আক্রমণ করার যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে আসলে ওহিওর ক্যাপিটাল বিল্ডিঙের ঘটনা। টুইটার থেকে যে ভিডিওগুলি প্রাপ্ত হয়েছে, Yandex টুলের দ্বারা সার্চ করার পর জানতে পারি যে বিল্ডিংটি দেখা যাচ্ছে তা আসলে ওহিও ক্যাপিটাল বিল্ডিং যা ডাউনটাউন কলম্বাসে অবস্থিত।
Ohio State capital Building
White House
২৮ তারিখ রাতে এই স্টেট ক্যাপিটাল বিল্ডিঙের সামনে আক্রমণ করে বিক্ষোভকারীরা। প্রথমে প্রায় ১০০ জনের মতো আন্দোলনকারীদের জমায়েত শুরু হয় ওহিওর এই বিডিলিংয়ের সামনে, তারপর তা বাড়তে থাকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ জলের বোতল ছুড়তে থাকে, পুলিশের উদ্দেশ্যে মন্তব্য ছুঁড়ে দিতে থাকে। পুলিশের তরফ থেকে তাদেরকে শান্ত হওয়ার কথা বললে কেউ কেউ ডিম, ধোয়া বোমা ও আতশবাজিও ছুঁড়ে দিয়ে পুলিশের দিকে। সংঘর্ষ বাড়তে থাকে দুই পক্ষের থেকে। বিক্ষোভকারীদের অনেকে ইট, পাথর দিয়ে বিল্ডিঙের কাঁচ ভেঙে ফেলে, আশেপাশে থাকা বাস, বাসস্ট্যান্ডে ভাঙচুর চালায়। এমনকী তারা ওহিও বিল্ডিঙের ভেতরে ঢুকেও ভাঙ্গচুর চালায়।
Dayton Dailynews The columbus Dispatch, NewyorkTimes ,The Lantern এই ঘটনার কথা আমরা জানতে পারি সংবাদগুলির প্রকাশিত সংবাদ থেকে।
এছাড়াও আমরা কীওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে ইউটুবের থেকে ওহিও ক্যাপিটাল বিল্ডিং আক্রমণের ঘটনার বিবরণ পাই Reuters, NBC4 Columbus 1, 2 সংবাদ মাধ্যমগুলোর ইউটুব চ্যানেল থেকে।
The Gurdian,CNBC, Fox40 এর পয়লা জুনের খবর দ্বারা জানতে পারি হোয়াইট হাউসের সামনে ও বেশ জোরকদমে বিক্ষোভ শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের তরফ থেকে হোয়াইট হাউসের মধ্যে বানানো গুপ্ত ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘর বানানো হয়েছে সন্ত্রাসবাদী হামলা বা কোনো যুদ্ধের হামলা থেকে দেশের প্রেসিডেন্টকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য।
শেষ পাওয়া খবর অনুসারে যে চার জন পুলিশ এই হত্যা কাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল যাদের বিরুদ্ধে দণ্ডনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।CNN, Decan Chronical
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হোয়াট হাউসের উপর আক্রমণ আসলে ওহিওর ক্যাপিটাল বিল্ডিঙের উপর আক্রমণের ভিডিও যা হাউসের নাম দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া হয়েছে।
ব্যবহৃতটুলস:
- Yandex search
- Media reports
ফলাফল: ভ্রান্তিমূলক Misleading
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.