Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
ইদানিং একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে শ্রীলঙ্কার মতো তেলেঙ্গানার ক্ষিপ্ত জনতা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকার রঙের উত্তরীয় পড়া কিছু ব্যক্তিদের লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে। কখনো বা তারা হাতের নাগালের বাইরে চলে গেলে লাঠি ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
ভাইরাল ভিডিওর সাথে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে – ‘তেলেঙ্গানা তে বিজেপি দলকে জনগন শ্রীলঙ্কা দাওয়াই শুরু করে দিয়েছে। আস্তে আস্তে জনগন সব রাজ্যে শ্রীলঙ্কা মতো বিজেপি দলকে দাওয়াই দেওয়া শুরু করবে.’
Fact check / Verification
তেলেঙ্গানার ক্ষিপ্ত জনতা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হয়েছে এই দাবিতে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতা জানার জন্য আমরা ভিডিওটিকে কিফ্রেমে ভাগ করে নিই। কারণ এই ভিডিওতে যারা বিজেপি কর্মীদের মারছে তাদের গলায় রয়েছে গোলাপি রঙের উত্তরীয়।
রিভার্স ইমেজ করার পর আমরা উল্লেখযোগ্য কোনো ফল পাইনি। এরপর আমরা কীওয়ার্ড ‘Telangana BJP Clash’ কথাটি লিখে খোঁজার পর Times Of Indiaর একটি ভিডিও পাই। ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০১৮ এর এই রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদি তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনকে নিয়ে রাজ্যসভায় যে মন্তব্য করেন তাকে ঘিরে তেলেঙ্গানার রাজ্য সরকার তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কর্মী সমর্থকদের সাথে আরো অন্যান্য মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা যুক্ত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে জনগাঁওতে।
Times Of India ছাড়াও আমরা ইউটুউব থেকে NTV Telugu র ৯ই ফেব্রুয়ারির ভিডিও পাই। এই ভিডিওটির সাথে আমরা ভাইরাল ভিডিওর সাদৃশ্য পাই। অর্থাৎ এই ভিডিওটিই ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর দাবি সমেত ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে TRS কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল হাতে বিক্ষোভ করছে। কোথাও বিজেপির সাথে হাতাহাতি শুরু হয়েছে গোলাপি উত্তরীয়ধারী তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।
তেলেঙ্গানার ক্ষিপ্ত জনতা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হয়েছে – দাবিটি মিথ্যে
অন্যদিকে ঠিক কি মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী তেলেঙ্গানা যায় গঠনকে নিয়ে তা জানতে পারি The Hinduর ৮ই ফেব্রুয়ারির রিপোর্টে। রাজ্যসভায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কভিন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠন হয়েছে লোকসভার বন্ধ দরজার আড়ালে। আলাদা এই রাজ্যটি তৈরী হওয়ার পেছনে তিনি কংগ্রেসকেই দায়ী করেন। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন বিজেপি কখনোই তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের বিরোধী নয়, কিন্তু যে ভাবে কোনো আলোচনা ছাড়া যে ভাবে রাতারাতি অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ভেঙে তেলাঙ্গানা তৈরী হয়েছে তাতে অন্ধ্রর আবেগ এবং রাজনৈতিক মূল্য আহত হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সংসদে বিল পেশ করা হয়। ১৮ই ফেব্রুয়ারি তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে, বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ এবং কংগ্রেসের জয়পাল রেড্ডি এই তিনজনের আলোচনা হয় এই বিলটিকে নিয়ে এবং এই সময় লোক সভার টিভি সম্প্রচারণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বিলটি পাস্ হওয়ার পর তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ভারতের ২৯তম রাজ্য তেলেঙ্গানাকে স্বাগত জানান।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকে তেলেঙ্গানার ক্ষিপ্ত জনতা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর চড়াও হয়েছে এই দাবিটি ভুল কারণ যে ভিডিওটি এই দাবির সাথে পোস্ট করা হয়েছে তা তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও।
Result: Partly False
Our sources
Times Of India‘s report published on 10th Feb 2022
NTV Telugu YouTube video on 9th Feb 2022
The Hindu’s report was published on 9th Feb 2022
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.