শুক্রবার, নভেম্বর 22, 2024
শুক্রবার, নভেম্বর 22, 2024

HomeFact CheckFact Check: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করলেও বিগ্রহের মন্দিরে আটকে...

Fact Check: রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করলেও বিগ্রহের মন্দিরে আটকে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে? জানুন সত্যতা 

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Claim: রথযাত্রায় জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহ প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে 
Fact: এই দাবিটি মিথ্যা, রাষ্ট্রপতি তার নিজের ইচ্ছাতেই গর্ভগৃহে প্রবেশ করেননি 

সোশ্যাল মিডিয়াতে রথযাত্রার আবহে ভাইরাল দাবি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করলেও বিগ্রহের মন্দিরে আটকে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে। দাবিটির সাথে দুটি ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে একটিতে রেলমন্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথের সামনে নতশিরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি মুর্মু গর্ভগৃহের ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে করজোড়ে প্রণাম করেছেন বিগ্রহকে। 

টুইটারে এই দাবিটি যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে, পোস্টগুলো এখানে, এখানে দেখা যেতে পারে। 

Fact check/ Verification

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করলেও বিগ্রহের মন্দিরে আটকে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে এই দাবিটি ভুল। 

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটির সম্পর্কে অনুসন্ধান শুরু করার পর রাষ্ট্রপতির দুটি টুইট পাই। ওড়িয়া ও হিন্দিতে ২০শে জুন রথযাত্রার দিন দিল্লির হাওজখাসের জগন্নাথ মন্দিরে তিনি পুজোর জন্য যান এবং মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়েই নিজের পুজো অর্পণ করেন জগন্নাথদেবকে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে বলা হয়েছে – রথযাত্রায় শুভক্ষণে দাঁড়িয়ে আমি সমগ্রদেশবাসী ও জগন্নাথ ভক্তদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। জগন্নাথ প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি আজকের এই ভক্তি ও সমর্পনের দিনে সকলের জীবনে যেন সুখ, স্বাচ্ছন্দ ও আনন্দের সমাগম ঘটে।’

আমরা এরপর রাষ্ট্রপতির দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করি। সেখান থেকে আমাদের জানানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে রথযাত্রার আবহে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে সেটি ভুল।রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ছোট থেকেই ওড়িশায় বেড়ে উঠেছেন। প্রভু জগন্নাথের প্রতি ওনার আস্থা ও বিশ্বাস অকল্পনীয়, এবং সেই সূত্রেই তিনি মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করেননি। অন্য একটি কারণ হলো মন্দিরে শালগ্রাম শীলা রাখা ছিল।রাষ্ট্রপতি তাই ওনার স্বভাব অনুসারে গর্ভগৃহের বাইরে দাঁড়িয়েই নিজের প্রার্থনা সারেন। ওনাকে বিগ্রহের সামনে যেতে দেওয়া হয়নি এই দাবিটি মিথ্যা। 

জী ২৪ঘন্টার ২০শে জুনের রিপোর্ট পাই। এই বছরের রথের দিন রাষ্ট্রপতির জন্মদিনও ছিল। জন্মদিনের নিজের আরাধ্যর মন্দিরে পুজো সেরে তিনি একটি বাচ্চাদের স্কুলে যান এবং সেখানে সময় কাটান। জী২৪ঘন্টার ভিডিওতেও আমরা শালগ্রাম শিলা দেখি। বিশেষ মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে জগন্নাথ দেবের পুজো সারেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু। 

এই বিষয়ের উপর আমরা সাংবাদিক সন্দীপ সাউয়ের টুইট পাই। রাষ্ট্রপতিকে জগন্নাথদেবের গর্ভগৃহে প্রবেশ করার দাবীটিকে নস্যাৎ করে তিনি জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথে কথোপকথনে জানা গিয়েছে, মন্দির ও গর্ভগৃহের ভেতরে যাওয়ার কোনো সমস্যা ছিল না, তিনি ধার্মিক এবং ছোট থেকেই রীতিনীতি মেনে পুজো করে আসছেন তাই তিনি গর্ভগৃহের ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। 

অন্যদিকে ভারতীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের ছবিটি ২০২১ সালের। অনুসন্ধানের দ্বারা আমরা রেলমন্ত্রীর টুইট পাই। ২০২১ সালের ১২ই জুলাই রথযাত্রার দিন একই জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এবং দেশবাসীর মঙ্গলকামন করেন। এখানে আমরা রেলমন্ত্রীর ভাইরাল ছবিটি পাই। 

আমরা মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথেও যোগাযোগ করি। মন্দিরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রেলমন্ত্রী যখন মন্দিরে যান তখন মুখ্য অতিথি হিসেবে রীতি অনুসারে তিনি মন্দিরে ঝাঁড়ু লাগান এবং পুজো অর্পণ করেন। রাষ্ট্রপতিকে বাধা দেওয়া হয়েছে এই দাবিটি ভুল। তিনি নিজের ইচ্ছাতেই গর্ভগৃহের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি পুজো অর্চনা করেন। 

Conclusion 

আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করলেও বিগ্রহের মন্দিরে আটকে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতিকে এই দাবিটি ভুল। তিনি নিজেই গর্ভগৃহে প্রবেশ না করেই ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে পুজো দেন। 

Result: Partly False 

Our Sources
President Of India‘s tweet
Ashwini Vaishnaw‘s tweet
Zee24 Ghanta report, 20June 2023
Telephonic conversation with President’s office & Hauz Khas Jagannath Mandir authority


সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Most Popular