Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি ফেসবুকে রাস্তায় বসা কিছু মানুষদের উপর জল কামান দাগার ভাইরাল ভিডিওর সাথে দাবি করা হচ্ছে – ফ্রান্সে রাস্তায় বসে নামাজ পড়ার কারণে জল কামান চালিয়েছে ফ্রান্সের পুলিশ। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু মানুষের জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করার লক্ষ্যে তীব্রগতিতে জল ছোড়া হচ্ছে। এই ভিডিওটি পোস্ট করে সাথে লেখা হয়েছে ‘ শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স কাজ শুরু করে দিয়েছে। রাস্তা দখল করে নামাজীদের তুলে দিচ্ছে রাস্তার থেকে। আশাকরি এবারেও দেখতে পাবো “বয়কট ফ্রান্স নামের নাটক কিছু দেশ।’
অর্থাৎ যারা রাস্তায় বসে ছিলেন তাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে দাবি করা হয়েছে। ফেসবুকে এই ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়েছে।
এপ্রিলের শেষে শুরু হয়েছে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া যেখানে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতির হওয়ার তালিকায় নাম রয়েছে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর। এর আগে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ম্যাক্রোঁ দাবি করেছিলেন সারা বিশ্বে যেভাবে হিংসাত্মক কার্যকলাপের পেছনে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের দায়ী করা হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে ইসলাম ধর্মের এখন সংকটজনক অবস্থা চলছে। এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ইসলামের উগ্রতাবাদকে মতামত নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ম্যাক্রোঁ চান ইসলামকে ফ্রান্সের ছোঁয়া দিতে। ওনার মতে ফ্রান্সের বসবাসকারী মুসলিম বিশেষত মহিলারা, সাধারণ মানুষ ও পাদ্রীরা কট্টরপন্থী ধ্যান ধারণাকে ছেড়ে এগিয়ে আসুক এবং পশ্চিম ইউরোপের ইসলামিক গোষ্ঠীকে একটি নতুন সংজ্ঞা, নতুন রূপ প্রদান করুক। এপ্রিলের শেষ থেকে শুরু হওয়া ফ্রান্সে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পুনরায় এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দ্বিতীয়বারের জন্য রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হয়েছেন।
Fact check / Verification
ফ্রান্সে রাস্তায় বসে নামাজ পড়ার কারণে জল কামান চালানো হয়েছে ফ্রান্সের পুলিশের তরফ থেকে – এই দাবি সমত যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা প্রথমে ভিডিওটিকে InVid টুলের দ্বারা কিছু ফ্রেমে ভাগ করে নিয়ে অনুসন্ধান চালাই। এই পর্যায়ে আমরা একটি ইউটুউব লিংক পাই এই একই ভিডিওর যা আপলোড করা হয়েছিল ২০১২ সালে। ভিডিওটির ক্যাপশনটিকে অনুবাদ করার সময় জানতে পারি একটি তুর্কি ভাষায় লেখা এবং এখানে তুরস্কের যুকসেকোভা নামটি রয়েছে। অনুবাদের দ্বারা জানা যায় এই ভিডিওটি সাধারণ নাগরিকদের শুক্রবারের প্রার্থনার।
ফ্রান্সে রাস্তায় বসে নামাজ পড়ার কারণে জল কামান চালানো হয়েছে এই দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি তুরস্কের ২০১২ সালের
ভিডিওটি পাওয়ার পর আমরা গুগলে কীওয়ার্ড ব্যবহার করে (turkey friday civil prayer water cannon) খোঁজার পর Haberturk.com ও Yuksekovahaber.com নামের দুটি তুর্কি ভাষার ওয়েবসাইট পাই যেখানে ২০১২ সালের ৯ই নভেম্বরের এই ঘটনার কথা বলা হয়েছে। হাক্কারি জেলার যুকসেকোভার একটি পুরোনো বন্দীশালার সামনে কয়েদিদের অনশন আন্দোলের দিকে প্রশাসনের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য। মূলত ২০১২ সালের অক্টোবর মাস থেকে এই বন্দিশালায় কুর্দি বন্দিদের অনশন শুরু হয় এবং দেশ ব্যাপী এর বিস্তার ঘটে। এই কুর্দি বন্দিদের দাবি ছিল শিক্ষাক্ষেত্রে ও আদালতে কুর্দিশ ভাষার প্রচলন হোক এবং আবদুল্লাহ ওকালানের নির্জন কারাবাস।
এই দাবিতে শুরু হওয়া অনশনকে সমর্থন জানাতে হাক্কারি জেলার যুকসেকোভার বন্দীশালার সামনে, এবং রাস্তায় সাধারণ মানুষ, স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ জানাতে থাকে। এই বিক্ষোভকে ভঙ্গ করার জন্য কোথাও চালানো হয় জল কামান তো কোথাও ব্যবহার হয় গ্যাস বোমা।
Haberturk.com ও Yuksekovahaber.com এর রিপোর্টে আমরা ভাইরাল ভিডিওর জল কামান, প্রার্থনায় সামিল বিক্ষোভকাদরীদের ছবি পাই।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকে ফ্রান্সে রাস্তায় বসে নামাজ পড়ার কারণে জল কামান চালানো হয়েছে এই দাবিতে ছড়ানো ভিডিওটি অপ্রাসঙ্গিক। আসল ভিডিওটি তুরস্কের ২০১২ সালের একটি অনশন আন্দোনলের ভিডিও।
Result: False context / False
Our sources
Haberturk report – https://www.yuksekovahaber.com.tr/haber/gaz-bombali-sivil-cuma-namazi-87659.htm
YouTube Video – https://www.youtube.com/watch?v=ZXhkgaR5jOo&t=2s
Yuksekovahaber report – https://www.yuksekovahaber.com.tr/haber/gaz-bombali-sivil-cuma-namazi-87659.htm
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.