দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গার প্রতিবাদে ত্রিপুরাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘর, দোকান জ্বালানোর ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে আর সেই আবহে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে কিছু ছবি যাকে ঘিরে দাবি করা হচ্ছে এগুলো ত্রিপুরার ঘটনার সাথে জড়িত।
ছবিটিকে পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামায় এখনো পর্যন্ত ত্রিপুরাতে ১৬টি মসজিদে আগুন লাগানো হয়েছে এবং বহু মুসলিমদের বাড়ি, দোকানও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।


ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত ছবির মধ্যে কোথাও দেখা যাচ্ছে দুই ব্যক্তির হাতে কিছু জ্বলে যাওয়া বই ধরা, কোথাও দমকল এসেছে আগুন নেভাতে ব্যস্ত তো কোথাও রাস্তায় মানুষের বিক্ষোভ মিছিলের ছবি। ত্রিপুরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের আবহে এই পোস্টগুলো বেশ ভাইরাল হয়েছে।
Fact-check / Verification
ত্রিপুরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের আবহে যে তিনটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সেই ছবিগুলো কবেকার জানার জন্য আমরা প্রতিটি ছবিগুলোকে নিয়ে গুগল রিভার্স ইমেজ করি। প্রতিটি ছবির সাথে আমরা কিছু লিংক পাই যা প্রমান করেছে এই ছবিগুলো ত্রিপুরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের সাথে সম্পর্কিত নয়।
প্রথম ছবি : এই ছবিটি ২০১৯ সালের অসমের। রিভার্স ইমেজ করার পর আমরা Guwahati Protest কথাটি দেখি এবং সাথে ২০১৯ সালের The Times of Indiaর একটি লিংক এবং আরো খোঁজার পর ANI এর ২০১৯ সালের ট্যুইট পাই।পাই।

অসম, ত্রিপুরায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায় এবং এই অশান্তির জেরে দুজন জওয়ানের প্রাণ যায়। গুয়াহাটি, ত্রিপুরার কিছু স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছবি : দ্বিতীয় ছবিটি দিল্লির মদনপুর খাদারের রোহিঙ্গা বস্তিতে আগুন লাগার সময়ের। রিভার্স ইমেজ করার পর আমরা ALJAZEERA র ২০২১ সালের ১৩ই জুনের একটি লিংক পাই।

রাজধানী দিল্লির মদনপুর খাদার নামের একটি জায়গায় রোহিঙ্গা বস্তি ছিল, যেখানে এক শনিবারের রাতে হটাৎ বস্তিতে আগুন লাগে এবং সেই আগুনে একের পর এক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ত্রিপুরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের নামে ছড়িয়েছে বিভ্রান্তিকর ছবি
এরই সঙ্গে আমরা তৃতীয় ছবিটিরও হদিশ পাই। এই একই ঘটনার ছবি হলো তৃতীয় ছবি। দিল্লির রোহিঙ্গা বস্তিতে আগুন লাগার ফলে তা পাশের মসজিদেও প্রবেশ করে এবং সেখানে থাকে জিনিসপত্রও পুড়তে থেকে। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদে রাখা পবিত্র কোরান বের করে আনেন।

এই দুই ব্যক্তি রোহিঙ্গা বস্তির যারা পুড়ে যাওয়া কোরান সংগ্রহ করছিলো। ইন্টাগ্রাম থেকে এই ছবিটি পাওয়ার পর আমরা ফটোগ্রাফার মুজতবা আসিফের সাথে যোগাযোগ করি এই ছবিটির বিষয়ে এবংগ তখন তিনি আমাদের এই তথ্যটি দেন।
Conclusion
আমাদের পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকে ত্রিপুরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের নামে ছড়িয়েছে এমনকিছু ছবি যা এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত নয়।
Result- Misplaced context
Our sources
কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected] অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।