সম্প্রতি টুইটারে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগীকে নিয়ে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যে যখন যোগী আদিত্যনাথ যখন মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েছিলেন তখন উঃ প্রঃ বেকারত্ব ১৭% ছিল, এবং তিনি পদ গ্রহণ করার পর সেই পরিমান ৪.২% তে এসে দাঁড়িয়েছে।
২০২২শে হতে চলেছে উঃ প্রঃ এর বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে বিজেপি ও বিরোধীদল নিজ নিজ শক্তি সঞ্চয়ে লেগে পড়েছে। আর এই আবহে ভাইরাল হয়েছে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এই দাবি। বলা হয়েছে এই তথ্য পাওয়া গেছে CMIE (Centre For Monitoring Indian Economy) থেকে।



একই খবর প্রকাশিত হয়েছে থেকে যেখানে লেখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ যখন মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন তখনকার বেকারত্ব বর্তমানের থেকে ৩ গুন্ বেশি ছিল।
Fact check / Verification
যোগী আদিত্যনাথ যখন মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েছিলেন তখন উঃ প্রঃ বেকারত্ব ১৭% ছিল এই দাবিটির সতুত জানার জন্য আমরা প্রথমে CMIE র ওয়েবসাইটে যাই,তাদের মাসিক তালিকাতে কি উল্লেখ করা হয়েছে জানার জন্য।

CMIE এর তথ্য অনুসারে ২০১৭ সালে যখন যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হন সেই সময় উঃ প্রঃ এর বেকারত্বের পরিমান ছিল ২.৪%. আসন্ন ভোটের আগে সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে উঃ প্রঃ বেকারত্বের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে তারই ইঙ্গিত দেয়।
জানা গেছে ২০১৭ সালের পরে বিজেপি সরকারের শাসনে থাকা উত্তর প্রদেশে বেকারত্বের প্ৰতিমান ২১.৫% ছিল ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এবং মে মাসে সেটি ছিল ২০.৪% . এই সময়টি ছিল করোনা কালীন লকডাউনের সময় যখন অনেক পরিযায়ী শ্রমিক, কর্মরত মানুষ নিজের কর্মস্থল ছেড়ে নিজের বাড়ি বিশেষত উত্তর প্রদেশ ও বিহারে ফিরে ছিল।
বিজেপি সরকার বাদে, ২০১৬তে যখন অখিলেশ যাদবের সরকার ছিল উঃ প্রঃ তখন বেকারত্বের পরিমান জুন মাসে ছিল ১৮% এবং অগাস্ট মাসে সেটি দাঁড়ায় ১৭.১% এ।
ILO অনুসারে দেশের শ্রমশক্তি নির্ণয় করা হয় দেশের জনসংখ্যায় কর্মরতের বয়েসের হিসেবে। শ্রমশক্তি হলো কর্মরত ব্যক্তি ও বেকার ব্যক্তির সংখ্যার সমষ্টি।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল দাবি যোগী আদিত্যনাথ যখন মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়েছিলেন তখন উঃ প্রঃ বেকারত্ব ১৭% এই দাবিটি ভুল।
Result – Misleading
Our source
CMIE
কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান [email protected] অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।