Authors
Claim: বাংলাদেশের ইস্কন মন্দিরের গোয়াল ঘর হামলার ভিডিয়ো।
Fact: ভাইরাল ভিডিয়োটি বাংলাদেশের নয়, বরং পঞ্জাবের জলন্ধরের।
বাংলাদেশে অশান্তির অবহে সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করা হচ্ছে একটি মার্মান্তিক ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, চারজন ব্য়ক্তি একটি গরুকে লাঠি দিয়ে মারছে। ভিডিয়োটি ফেসবুকে পোস্ট করে অনেকেই দাবি করেছেন যে, সেটি বাংলাদেশের ইস্কন মন্দিরের গোয়াল ঘর অর্থাৎ গরুরা যেখানে থাকে, সেখানে হামলার ভিডিয়ো। ফেসবুকে লেখা হয়েছে, “Isckon Cow’s farm attacked in Bangladesh বাংলা দেশে ইস্কনের গোয়াল ঘরে ঢুকে পড়ে কি কান্ড হচ্ছে! !!? Pathetic video of the morning দেখা যায় না”।
Fact Check/ Verification
ভাইরাল ভিডিয়োর কি-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর ‘সাংবাদিক ফয়সাল’-এর X হ্য়ান্ডেলে ভিডিয়োটি পোস্ট করে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল৷ ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে, পোস্টে অবশ্য তা উল্লেখ করা হয়নি।
দেখা যায়, PETA ইন্ডিয়া পোস্টের উত্তর দিয়েছিল, এবং জানিয়েছিল যে, ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার-এর প্রাসঙ্গিক ধারায় সদর থানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
সেই সূত্র ধরে ইন্টারনেটে কিওয়ার্ড সার্চ করলে দেখা যায় যে, ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর Tribune India ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। যার শিরোনাম ছিল, “Outrage in Jalandhar as cow flogged to death, video viral”। ওই রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, পঞ্জাবের জলন্ধরে, গরুর উপর অত্য়াচারের নির্মম ভিডিয়োটি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলে, জনমানসে ক্ষোভ তৈরি হয়। এরপরই, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে, প্রশাসনের দ্বারস্থ হন অ্য়ানিমেল প্রটোকশন ফাইন্টেশনের সদস্য় সৃষ্টি বক্সি। জলন্ধরের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান তিনি এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, অভিযুক্তরা গরুর চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে।
এইপর News Checker-এর তরফে অ্য়ানিমেল প্রটোকশন ফাইন্টেশনের আরও এক সদস্য় ইউভি সিং-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আমাদের জানান যে, ভিডিয়োটি পঞ্জাবের জলন্ধরে অবস্থিত জামশের ডেয়ারি কমপ্লেক্সে ঘটেছিল এবং চারজনের বিরুদ্ধে একটি ষাঁড়কে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। তবে অভিযুক্তরা সকলেই হিন্দু ছিল। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
Animal Protection Foundation-এর ফেসবুক পেজে এফআইআর কপিটা আমরা খুঁজে পাই।
Conclusion
অতএব এখন বোঝাই যাচ্ছে যে, ভাইরাল ভিডিয়োটি বাংলাদেশের নয়, বরং পঞ্জাবের জলন্ধরের।
Result: False
Sources
X Post by @faisalbaig3102 on November 20, 2024
X Post by @PetaIndia on November 20, 2024
News report by The Tribune on November 20, 2024
Facebook post by Animal Protection Foundation on November 18, 2024
Telephonic conversation with Yuvi Singh, Animal Protection Foundation
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।