সোমবার, নভেম্বর 25, 2024
সোমবার, নভেম্বর 25, 2024

HomeCoronavirusবিভ্রান্তিকর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার তালিকাতে নতুন নাম সংযোজিত হলো দিলীপ...

বিভ্রান্তিকর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার তালিকাতে নতুন নাম সংযোজিত হলো দিলীপ ঘোষের

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

দাবি: বঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে তিনি দাবি করেছেন, দাঁতন পশ্চিম মেদিনীপুরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোয়ারান্টিনে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা কেমন কষ্টে রয়েছে।  ভাইরাল এই ভিডিওটিতে বলা হচ্ছে যে একটি ঘরে খাটে ও মেঝে তে দুটিকরে  পরিবার এক সাথে বসবাস করছে, এর ফলে এনাদের মধ্যে করোনা আরো বেশি করে ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।  

https://www.facebook.com/dilipghoshbjp/videos/3044212582359168/

বিশ্লেষণ: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শাসক দলের অন্যতম শক্তিশালী বিরোধী বিজেপির বাংলার সভাপতি দিলীপ ঘোষ সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান করে নিয়েছেন।  তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সম্প্রতি তিনি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বলে তিনি দাবি করেছেন।  ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে প্রায় শ- খানেক লোক একটি বিল্ডিংয়ের একটি বড়ো  হল ঘরের মধ্যে যত্রতত্র শুয়ে রয়েছেন।  এই হলঘরের পাশে কিছু রুম আছে সেখানেও কিছু লোক খাটে ও কিছু লোক মেঝেতে কাগজ পেতে শুয়ে বসে রয়েছেন। এদের মধ্যে কিছু পরিবার সমেত এই ঘরগুলির মধ্যে রয়েছেন, আবার কিছু লোক দলবদ্ধ ভাবে রয়েছেন।  ভিডিওতে একটি ঘরের অবস্থা খুব বাজে, কারণ সেই ঘরে দেওয়াল চুঁয়ে জল পড়ছে। যেসব মানুষদের ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে তারা পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে । ওই ঘরগুলিতে থাকা কিছু মহিলাদের রীতিমতো চোখের জল ফেলতে দেখা গেছে এই ধরণের অস্বস্তিকর পরিবেশে থাকার কারণে।  ভিডিওটি যিনি বানিয়েছেন তিনি দাবি করেছেন যদি সরকারের তরফ থেকে এদের সঙ্গরোধে থাকার নির্দেশ দিয়েছে তাহলে কেন এই ভাবে একসাথে তাদের রাখা হলো? এতে করোনার জীবাণু অতি সহজেই একে অপরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।  

ভিডিওটিতে বর্ণিত স্থান সত্যিই কি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ? এই ঘটনার সম্পর্কে রাজ্যসরকার থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা জানার জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীর ও বেঙ্গল পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ঘাটতে  থাকি।  কোনো মিডিয়া রিপোর্ট ও এই ঘটনাকে বেরিয়েছে কিনা তাও  আমরা খোঁজ করতে থাকি।  

 পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের টুইটার প্রোফাইল থেকে আমরা একটি টুইট পাই যেখানে এই ভিডিওটিকে বিভ্রমজনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।  এই পোস্টটিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ফেসবুক থেকে নেওয়া হয়েছে।

https://twitter.com/WBPolice/status/1256095489243492354/photo/1
https://www.facebook.com/1694160107574724/videos/563094217970618/

আমরা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজ বের করে এই ঘটনার বর্ণনা পাই।  ২৪ ও ২৫শে এপ্রিল দক্ষিণ ভারত থেকে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা আসেন।  তাদের কেউ অ্যাম্বুলেন্স কেউ বা গাড়ি ভাড়া করে বাংলায় এসে পৌঁছেন।  তাদের তৎক্ষণাৎ থাকার ব্যবস্থা স্বরূপ সরকার থেকে একটি হোটেলর ব্যবস্থা করা হয় এবং তাদেরকে প্রয়োজনীয়ও সামগ্রী যেমন খাওয়ার , জলের বোতল ইত্যাদি সরবরাহ করা হয় সরকার  ও পঃ মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফ থেকে। এর পর তাদেরকে সরকারি নির্দেশে সরকার থেকে পাঠানো গাড়িতে করে করোনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।  ভিডিওটিতে দেখানো স্থানটি কোনো ভাবেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নয়।  যে বা যারা এই ভিডিওটিকে ভুল দাবি নিয়ে বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো  হয়েছে।  

এই পেজে পঃ মেদিনীপুর জেলার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের আসল ছবি আমরা পাই।  

https://www.facebook.com/1694160107574724/photos/pcb.2658529074471151/2658525167804875/?type=3&theater

সম্পূর্ণ বিবরণ পাওয়ার পর এবং সমস্ত বিষয়টিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার পর আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে এই  বাংলার  বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতাকে তুলে ধরার জন্য একটি ভুঁয়ো বা বিভ্রমজনক ভিডিও তার ফেইসবুক প্রোফাইল থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়েছেন।  

ব্যবহৃত টুলস:

  • Google keyword
  • Media reports
  • WB police twitter profile

ফলাফল:  বিভ্রান্তিকর Misleading

(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। ) 

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Paromita Das
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Most Popular