Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি:ভারতের বিখ্যাত সিবিএসই স্কুল দিল্লী পাবলিক স্কুলের নাম সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল পোস্টের দাবি অনুসারে, দিল্লী পাবলিক স্কুল নাকি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য মুখের মাস্ক বিক্রি করছে। ওই মাস্কের উপরে ডিপিএস স্কুলের লোগো ছাপা আছে ও তার দাম নাকি ৪০০ টাকা করে। নিচে এই ধরণের কিছু পোস্ট আমরা দিলাম।
বিশ্লেষণ:লকডাউন থাকা কালীন অনেক প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ফি-হাইক করার কিছু খবর আমাদের সামনে এসেছে। মার্চ মাসে প্রথম লকডাউন শুরু হওয়ার সময় থেকে প্রতিটা রাজ্যে সবার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করার আদেশ দিয়েছে ভারত সরকার । ইন্টারনেটের দ্বারা মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপে ক্লাস সারতে হচ্ছে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের। তারপরেও কেন স্কুলের মাইনে বাড়ানো হচ্ছে তা নিয়ে অভিভাককরা যথেষ্ট খাপ্পা আছে স্কুল কতৃপক্ষের উপর। বিশেষত যখন মা -বাবাদের চাকরির অবস্থা খারাপ, কি ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবে এই চিন্তা মাথায় বাসা বেঁধেছে। চন্ডিগড়, গুরুগ্রাম, কলকাতার মতো কিছু রাজ্যে এই পরিস্থিতি খুবই ভয়ানক।
করোনা ভারতে আসার পর থেকে শপিংমল, স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। করোনা যাতে পড়ুয়াদের মধ্যে দিতে ছড়াতে না পারে তাই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের যাতে পড়াশুনায় কোনো ক্ষতি না হয় তাই স্কুল ও কলেজের পক্ষ থেকে অনলাইনে ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের কাছে একটি পোস্ট আসে যেখানে দাবি করা হয়েছে যে দিল্লী পাবলিক স্কুল নাকি তাদের পড়ুয়াদের জন্য করোনা থেকে সাবধানে থাকার জন্য মাস্ক বের করেছে। যে ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সাদা মাস্কের উপর দিল্লী পাবলিক স্কুলের মনোগ্রাম ছাপা আছে, আর সাথে লেখা আছে এর দাম হলো ৪০০ টাকা। তবে কোথাও আবার এর দাম ৩৫০ টাকা বলা হচ্ছে।
এই ঘটনা কতটা সত্যি জানার জন্য আমার দিল্লী পাবলিক স্কুলের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ও মিডিয়ার রিপোর্ট খোঁজার চেষ্টা করি। জানা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল এই মাস্কের ছবি ও তার সাথে করা দাবি সম্পূর্ণ ভুল।
কিছু কিওয়ার্ডের দ্বারা গুগলে খোঁজার পর আমরা BangalorMirro এর একটি রিপোর্ট পাই যেখানে যে ভাইরাল ম্যাসেজটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। মানসুর আলী খান যিনি ডিপিএস স্কুলের বোর্ড অফ ম্যানেজমেন্টের সদস্য তিনি বলেছেন, এই ধরণের কোনো মাস্ক ছাপা হয়নি স্কুলের পক্ষ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল এই ছবিটি ও মাস্কের দামের ঘটনাটি পুরোপুরিই জালি। স্কুলের নাম খারাপ করার জন্য কেউ স্কুলের মনোগ্রাম ব্যবহার করে এটিকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়াচ্ছে। বেঙ্গালুরু ডিপিএস সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টে এই ঘটনার বিরুদ্ধে কমপ্লেইন্ট করেছে।
এছাড়াও The Hindu, Decan Herald সংবাদ মাধ্যমের থেকেও আমরা এই জালি ভাইরাল ম্যাসেজের কথা জানতে পাই। এই ঘটনার উপর প্রকাশিত The Hindu র খবর অনুসারে কিছু ভেন্ডর মাস্কের বিক্রি বাড়ানোর কারণে ডিপিএসের মনোগ্রাম ব্যবহার করেছে। তবে স্কুল কতৃপক্ষ এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে এই দামের কোনো মাস্ক ডিপিএস ম্যানেজমেন্ট থেকে পড়ুয়াদের জন্য ছাপা হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়াতে থেকেও আমরা জানতে পারি শিলিগুড়ি, বেঙ্গালুরু, অমৃতসর, দেরাদুন ডিপিএস ও তাদের ফেসবুক পেজ থেকে এই ঘটনাকে ফেক বা জালি খবর বলে প্রতিপন্ন করেছে। নিচে এই ঘটনা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট দেওয়া হলো।
আমাদের সব অনুসন্ধানের দ্বারা আমরা প্রমান করেত পেরেছি যে সোশ্যাল মিডিয়াতে দিল্লী পাবলিক স্কুলের নাম করে যে মাস্কের পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে, তা পুরোপুরি জাল বা ফেক।
ব্যবহৃত টুলস:
- Google keyword search
- Media reports
- Facebook posts
ফলাফল:জাল পোস্ট Imposter content
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.