Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি টুইটার, ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হয়েছে এই ভিডিওটি বাংলায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার প্রমান। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলাকে জোর করে এক ব্যক্তি ধরে রেখেছে এবং মহিলাটি সামনে অন্য এক ব্যক্তি তাকে ইসলামের পাঠ পড়াচ্ছে। ভিডিওটিতে মহিলাকে বলতে শোনা যাচ্ছে আজ থেকে সে হিন্দু থেকে মুসলিমে পরিণত হলো।
টুইটারে এই ভিডিওটিকে শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে বাংলার শান্তিপ্রিয় সম্প্রদায়ের জবরদস্তি কারোর ধর্ম পরিবর্তন করার এটি হলো নিদর্শন। অর্থাৎ ভিডিওতে যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে বলা হচ্ছে তার মতের বিরুদ্ধে বলপূর্বক তার ধর্ম পরিবর্তন করে তাকে হিন্দু থেকে মুসলিম বানানো হয়েছে।
শুধু এখন নয়, এই ভিডিওটি ২০১৯ সালে ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল। তখন এই ভিডিওটিকে শেয়ার করে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক হিন্দুদের ইটা দেখা উচিত। বাংলাদেশের হিন্দু মহিলাকে কিভাবে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো হচ্ছে। বাংলাদেশের সিলেট জেলা থেকে এই ভিডিওটি ছড়িয়েছে। অর্থাৎ এই ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের না বাংলাদেশের তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
২০১৯ সালে তারেখ ফতেহ এই একই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে একে জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করার নাম দেন।
Fact check / Verification
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ভিডিও যেখানে দাবি করা হয়েছে এই ভিডিওটি বাংলায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার নিদর্শন, ২০১৯ সালে IndiaToday এর ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে। এই ভিডিওটিকে নিয়ে তথ্য যাচাই করার প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে এই ভিডিওটি বাংলাদেশের এক মহিলার Exorcism বা ভূত তাড়ানোর ভিডিও যাকে বলপূর্বক ধর্মান্তরিত করার নাম দেওয়া হয়েছিল। কীওয়ার্ড দ্বারা খোঁজার পর আমরা ইউটুউব থেকে এর আসল ১২ মিনিটের ভিডিওটি পাই যা ২০১৯ সালে আপলোড করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের ঝাড়ফুঁকের ভিডিও বাংলায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার নামে ভাইরাল
ইউটুউব ভিডিও ছাড়াও আমরা আমাদের বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকার সায়েদ জয়ের সাথে এই ভিডিটিকে শেয়ার করি। ভিডিওটিকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার পর সায়েদ আমাদের জানান যে এই ভিডিওটি কোথা থেকেও জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করার নয়। বরং ভিডিওতে যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তার শরীর থেকে বিধর্মী জীনকে তাড়ানোর চেষ্টা করছেন ফেজ টুপি পড়া হুজুর। সায়েদ আরও জানান বাংলাদেশে এই ধরনের জীন তাড়ানোর ঘটনা খুবই সাধারণ ও নিত্যদিনের ঘটনা।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে বাংলায় জোর করে ধর্মান্তরিত করার নামে যে ভিডিওটি ছড়িয়েছে তা প্রকৃতপক্ষ্যে বাংলাদেশের। বাংলাদেশী মহিলার ভেতর থেকে বিধর্মী জীন তাড়ানোর এই ভিডিওটিকে বর্তমানে বিভ্রান্তিকর দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে।
Result: Misleading
Our Source
YouTube
Video Analysis with a language expert
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.