Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে Stan Swamyর মৃত্যুর পর একটি ছবি শেয়ার হয়েছে, হাসপাতালের বিছানার সাথে পায়ে শেকল বাধা অবস্থায় এক বৃদ্ধ কে দেখা যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে এই বৃদ্ধই হলেন Stan Swamy যিনি সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গলার আওয়াজ তুলেছিলেন।
গতকাল মারা যান Stan Swamy মুম্বাইয়ের হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে। মারা যাওয়ার সময় ওনার বয়েস হয়েছিল ৮৪ বছর। বহারটিও দণ্ডবিধি অনুসারে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জেলে থাকা কালীনই ওনার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এবং এই নিয়ে ওনার পরিবার ও অনুগামীরা ভারত সরকারের কাছে আবেদনও জানান ওনার সঠিক চিকিৎসা করার জন্য।
Fact-check / Verification
জনজাতি অধিকার রক্ষা করার আন্দোলনের প্রধান মুখ ছিলেন Stan Swamy . জানা যায় বন্দি মুক্তির দাবীতে আন্দোলন সংগঠন হলে সেই আন্দোলনেও উপস্থিত ছিলেন Stan Swamy .২০১৮ সালে জাতিগত বিদ্বেষের কারণে ওনার জেল হয়। অধিবাসীদের অধিকার নিয়ে লড়াই করতে থাকা Father Stan Swamyর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে এনআইএ গ্রেপ্তার করে এবং ওনার বিরুদ্ধে ইউএপিএআইনের অভিযোগও জানান হয়।
এছাড়াও ওনার নাম ভীম করেগাঁও মামলাতেও জড়িয়েছিল। ওনার গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে দেশের বামপন্থী দল, জাতীয় কংগ্রেস থেকেও বার বার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত ছিলেন Stan Swamy, এবং মারা যাওয়ার কিছু দিন আগে ওনার করোনা ধরা পরে। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় অনেক দিন ধরে ভুগে ছিলেন তিনি। অবশেষে গতকাল শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
হাসপাতালের বিছানার সাথে পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় ছিলেন Stan Swamy এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু আমাদের জানার প্রয়োজন ছিল এই ছিবিতে যে বৃদ্ধকে দেখা যাচ্ছে তিনি কি সত্যিই Stan Swamy ?এই পর্যায়ে আমরা ছবিটির রিভার্স ইমেজ করি
হাসপাতালের বিছানার সাথে পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় যে বৃদ্ধকে দেখা যাচ্ছে তিনি Stan Swamy নন, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের
গুগল রিভার্স ইমেজ করার পর আমরা জানতে পারি হাসপাতালের বিছানার সাথে পায়ে শেকল বাঁধা অবস্থায় যে বৃদ্ধকে দেখা যাচ্ছে তিনি Stan স্বামী নন, অন্য কেউ। ছবিটির সাথে বিভ্রান্তিকর দাবি করা হচ্ছে। Times Of India, NDTV র মে মাসের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে ছবির ব্যক্তিটির নাম বাবুরাম বলবান সিংহ যিনি এটাহর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন,হাবিবপুর গ্রামে একটি খুনের কারণে ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রেপ্তার হন বাবুরাম। শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে ওনাকে বড়ো সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু কোনো বিছানা খালি না পাওয়ার কারণে ফের ওনাকে এটাহতে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের বিছানার সাথে শেকল বাঁধা ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার কারণে জেলের ওয়ার্ডেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কেন এবং কি পরিস্থিতির কারণে বাবুরাম সিংহকে এই ভাবে বেঁধে রাখা হয়েছিল তা জানা যায়নি। টুইটার থেকে Times Of Indiaর এক সাংবাদিক এই ছবিটি পোস্ট করার পর উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি জানান এই ঘটনাটি জেলের ডিজি শ্রী আনন্দ কুমারের নজরে আসার পর এই ঘটনার যথাযথ মীমাংসা করা হয়েছে।
Conclusion
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হাসপাতালের বিছানার সাথে এক বৃদ্ধকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে এই ছবিটি জনজাতি অধিকার রক্ষা আন্দোলনের প্রধান Father Stan Swamy র। আমাদের অনুসন্ধানে প্রমানিত হয়েছে এই ছবিটি উত্তরপ্রদেশের আগ্রার। ছবিটির সাথে Stan Swamy র কোনো যোগ নেই।
Result- Misleading
Our sources
UP police tweet- https://twitter.com/AnujaJaiswalTOI/status/1392722826465972228
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.