Authors
Claim: তৃণমূল বিধায়ক মনসুর মহম্মদের হাতে মার খাচ্ছেন অন ডিউটি পুলিশ অফিসার।
Fact: ভাইলার ভিডিয়োটি তৃণমূল বিধায়কের পুলিশকে মারধরের নয়। বরং এটা ২০১৮ সালে বিজেপি কাউন্সিলরের পুলিশকে মারধরের ভিডিয়ো।
একদিকে সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য তথা দেশের রাজনীতি। যেখানে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে সরাসরি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, আর্থিক ও জমি তছরুপের অভিযোগ করেছেন মহিলারা। এমনকী, পুলিশের বিরুদ্ধেও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে কাজের অভিযোগ উঠেছে।
এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিয়ো। যেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশের পোশাকে এক ব্যক্তির উপর চড়াও হয়ে মারধর করছে একজন। তাঁকে একের পর এক চড় মারছেন। শেষে ওই ব্যক্তি মাটিতে পড়ে যান। ভিডিয়োটি ফেসবুকে পোস্ট করে একজন লিখেছেন, “তৃণমূলের এম এল এ মনসুর মহম্মদ এর হাতে অন ডিউটি পশ্চিম বঙ্গের পুলিশ এর যা হাল দেখাচ্ছে তা হলে সাধারন মানুষের অবস্থা যে কি ভালো মতো বোঝা যাচ্ছে।” (পোস্টের বানান অপরিবর্তিত)
একই দাবি-সহ একাধিক পোস্ট দেখা যাবে এখানে, এখানে ও এখানে।
Fact Check/ Verification
রাজ্য বিধানসভার ওয়েবসাইটে ঘেঁটে আমরা মনসুর মহম্মদ নামের বিধায়ককে খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। কিন্তু ওই নামের কোনও বিধায়ককে আমরা খুঁজে পাইনি।
এরপর ভাইরাল ভিডিয়োটির একটি কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর ডেকান ক্রনিক্যাল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি খবর আমাদের নজরে পড়ে। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, সুখপাল সিং পাওয়ার নামে মোহিউদ্দিনপুর পুলিশ আউট পোস্টের একজন অফিসার, তাঁর এক বান্ধবীকে নিয়ে একটি রেস্তরাঁতে খেতে গিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে রেস্তরাঁটি মিরাটের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মণীশ কুমারের ছিল। খাবার দিতে দেরি হওয়ায় রেস্তরাঁর কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন ওই পুলিশ অফিসার। পরে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন মালিক মণীশ কুমার। দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়েছিল এবং পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়েছিল।
একই সময়ে, একই খবর প্রকাশিত হয়েছিল ইন্ডিয়া টুডের ওয়েবসাইটেও। ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করা হয়েছেিল এবং তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও মহিলার শ্লীলতাহানির মতো ধারা দেওয়া হয়েছিল।
Conclusion
সুতরাং এখন এটা স্পষ্ট করে বলা যায় যে, ভাইলার ভিডিয়োটি তৃণমূল বিধায়কের পুলিশকে মারধরের নয়। বরং এটা ২০১৮ সালে বিজেপি কাউন্সিলরের পুলিশকে মারধরের ভিডিয়ো।
Result: False
Sources:
Report By Deccan Chronicle, Dated October 20, 2018
Report By India Today, Dated October 20, 2018
Report By Financial Times, Dated October 20, 2018