Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
Claim: সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগপত্র দিলেন লিটিগ্রান্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি
Fact: প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে অভিযোগ আনা হয়েছিল, সেই খবর এখন বিভ্রান্তিকর দাবি সমেত ছড়াচ্ছে
ফেসবুকে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে – সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে ১৯০ পাতার অভিযোগ জমা পড়েছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এই অভিযোগ করেছে লিটিগ্রান্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি। যদিও কেন এই অভিযোগ করা হয়েছে তা কোথাও বলা হয়নি।
Fact check / Verification
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে ১৯০ পাতার অভিযোগ জমা পড়েছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবরটি পুরোনো ও অপ্রাসঙ্গিক। গুগলে কীওয়ার্ড দিয়ে খোঁজার পর আমরা India Today ও ANI এর রিপোর্ট পাই।
২০২২ সালের ৮ই অক্টোবরের রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতের বার কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেছে ‘ভারতের বিচার ব্যবস্থা ও প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করার একটি কুৎসিত ও বিদ্বেষমূলক প্ররোচনা’ আর.কে পাঠান নামের এক আইনজীবী বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তিনি ওনার ছেলে অভিনব চন্দ্রচূড়ের এক ক্লায়েন্টের পক্ষে বিচার দিয়েছেন।নিজের ছেলের জন্য এই সুবিধামূলক আচরণে জন্য ওনার বিরুদ্ধে ১৬৫ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ পত্র জমা করেন আইনজীবী পাঠান।
ANI এর রিপোর্টে জানতে পারি আর কে পাঠান খুব সম্ভবত সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের লিটিগ্রান্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি ১৬৫ পাতার একটি অভিযোগ পত্র জমা করেন রাষ্ট্রপতির কাছে যেখানে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বোম্বে হাইকোর্টে ওনার ছেলে অভিনব চন্দ্রচূড় একটি কেস নিয়ে লড়ছিলেন। ওই অভিযোগ পত্র মোতাবেক, এই কেসের শুনানি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের শোনার কথা ছিল না, কিন্তু তিনি ওই সভায় উপস্থিত থেকে সব কেস শুনে নিজের ছেলের কেসের পক্ষে ইতিবাচক রায় দেন।
ফেসবুকে এই দাবিটি পোস্ট করে অনেকেই লিখেছেন ‘এটা খুব প্রয়োজন ছিল’, ‘জনগণ এবার জেগে উঠেছে’ ইত্যাদি। জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুনীতির দুটি কেস থেকে সরানোর পর ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়েছেছিল যার মধ্যে অন্যতম হলো সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি যদি টিভি চ্যানেলে আসতে পারেন তাহলে বিচারপতি অভিজিতের ক্ষেত্রে কেন নিয়ম বদলানো হলো। এবার বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে নিয়ে দাবি ওনার বিরুদ্ধে ১৯০ পৃষ্ঠার অভিযোগ আনা হয়েছে।
কলকাতায় শিক্ষক নিয়োগ মামলার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের দল তদন্ত করছিল। এর মধ্যে দুটি কেস যেটির একটিতে নাম রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জীর নাম, সেটি সরিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে দেওয়া হয়েছে।সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার ভাইরাল খবরটিকে এই ঘটনার আবহে শেয়ার করা হয়েছে।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে ১৯০ পাতার অভিযোগ জমা পড়েছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর দাবিটি অপ্রাসঙ্গিক।
Result: Missing Context
Our Sources
IndiaToday report published on 8 Oct 2022
ANI report published on 9 Oct 2022
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.